1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

থাইল্যান্ডে অচলাবস্থা ঘনীভূত

২ ডিসেম্বর ২০১৩

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কাজ না হওয়ায় দাবি আদায়ের জন্য কঠোর কর্মসূচি দিয়ে চলেছে থাইল্যান্ডের বিরোধী দল৷ তবে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, পদত্যাগের অসাংবিধানিক দাবি তিনি মানবেন না৷

https://p.dw.com/p/1ARYW
An anti-government protester throws back a tear gas canister during clashes with police near the Government House in Bangkok December 1, 2013. Police fired several rounds of teargas in an area of Bangkok near Government House, after a chaotic night of street fighting elsewhere in the capital during which two people were killed and at least 45 wounded. REUTERS/Damir Sagolj (THAILAND - Tags: POLITICS CIVIL UNREST TPX IMAGES OF THE DAY)
ছবি: Reuters

গত ১ নভেম্বর জোট সরকার দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার পরই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ৷ থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর দেশ ছেড়ে যান তিনি৷ দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগের যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো থেকে সরকার তাঁকে রেহাই দিতে যাওয়ায় এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বিরোধী দলগুলো৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, থাকসিনের বোন ইংলাক প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভাইয়ের মতোই দেশ চালাচ্ছেন, সুতরাং ইংলাককে পদত্যাগ করতে হবে৷

Thailand's Prime Minister Yingluck Shinawatra speaks during a news conference at the Government House in Bangkok November 28, 2013.Thai Prime Minister Yingluck Shinawatra on Thursday called on anti-government demonstrators to cease their protests and hold dialogue to avert street confrontations. REUTERS/Chaiwat Subprasom (THAILAND - Tags: POLITICS CIVIL UNREST)
প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাছবি: Reuters

দাবি আদায়ের জন্য এ সপ্তাহান্তে ব্যাংককে বিশাল সমাবেশের পর বিভিন্ন সরকারি অফিসের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা৷ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা বিক্ষোভকারীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে কয়েকটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে৷ তবে সরকার এ দাবির সত্যতা অস্বীকার করেছে৷

এদিকে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে পদত্যাগের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা বলেছেন, ‘‘জনগণকে সুখী করার জন্য আমি যে-কোনো কিছু করতে প্রস্তুত৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাকে সংবিধানের আওতায় থেকেই সবকিছু করতে হবে৷''

সেনা শাসন এবং সেনা হস্তক্ষেপের সুদীর্ঘ অতীত রয়েছে থাইল্যান্ডে৷ ৭ বছর আগে তাঁর ভাইকেও সরিয়েছিল সেনাবাহিনী৷ তবে ইংলাক আশা করছেন সেনাবাহিনী এখন নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে, ‘‘সশস্ত্র বাহিনী নিরপেক্ষ থাকবে৷ আমি জানি, তাঁরা চান দেশে শান্তি থাকুক৷'' এ সময় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

এদিকে দেশবাসীকে অসহযোগ আন্দোলনে নামার আহ্বান জানানো বিরোধী দলীয় নেতা সুতেপ তাউকসুবান দু দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাককে৷ রোববার তিনি পদত্যাগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় বেঁধে দেয়ার পর আন্দোলন অনেকটা জঙ্গি রূপ নিয়েছে৷ ব্যাংককে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী পুলিশের কার্যালয়সহ বেশ কিছু সরকারি কার্যালয় দখল করতে অগ্রসর হলে কাঁদানো গ্যাস আর জলকামান ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়৷ কয়েকটি এলাকায় সরকার সমর্থক এবং বিরোধী দল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে৷ সংঘর্ষে এ পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন৷

এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য