থাইল্যান্ডে অচলাবস্থা ঘনীভূত
২ ডিসেম্বর ২০১৩গত ১ নভেম্বর জোট সরকার দেশ ছেড়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ফিরিয়ে আনতে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব অভিযোগ প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়ার পরই শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ৷ থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন৷ অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর দেশ ছেড়ে যান তিনি৷ দুর্নীতিসহ বেশ কিছু অভিযোগের যেসব মামলা রয়েছে, সেগুলো থেকে সরকার তাঁকে রেহাই দিতে যাওয়ায় এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামে বিরোধী দলগুলো৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, থাকসিনের বোন ইংলাক প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভাইয়ের মতোই দেশ চালাচ্ছেন, সুতরাং ইংলাককে পদত্যাগ করতে হবে৷
দাবি আদায়ের জন্য এ সপ্তাহান্তে ব্যাংককে বিশাল সমাবেশের পর বিভিন্ন সরকারি অফিসের সামনে অবস্থান নিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা৷ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা বিক্ষোভকারীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে কয়েকটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে৷ তবে সরকার এ দাবির সত্যতা অস্বীকার করেছে৷
এদিকে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে পদত্যাগের দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা বলেছেন, ‘‘জনগণকে সুখী করার জন্য আমি যে-কোনো কিছু করতে প্রস্তুত৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাকে সংবিধানের আওতায় থেকেই সবকিছু করতে হবে৷''
সেনা শাসন এবং সেনা হস্তক্ষেপের সুদীর্ঘ অতীত রয়েছে থাইল্যান্ডে৷ ৭ বছর আগে তাঁর ভাইকেও সরিয়েছিল সেনাবাহিনী৷ তবে ইংলাক আশা করছেন সেনাবাহিনী এখন নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে, ‘‘সশস্ত্র বাহিনী নিরপেক্ষ থাকবে৷ আমি জানি, তাঁরা চান দেশে শান্তি থাকুক৷'' এ সময় বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
এদিকে দেশবাসীকে অসহযোগ আন্দোলনে নামার আহ্বান জানানো বিরোধী দলীয় নেতা সুতেপ তাউকসুবান দু দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইংলাককে৷ রোববার তিনি পদত্যাগের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এ সময় বেঁধে দেয়ার পর আন্দোলন অনেকটা জঙ্গি রূপ নিয়েছে৷ ব্যাংককে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী পুলিশের কার্যালয়সহ বেশ কিছু সরকারি কার্যালয় দখল করতে অগ্রসর হলে কাঁদানো গ্যাস আর জলকামান ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করা হয়৷ কয়েকটি এলাকায় সরকার সমর্থক এবং বিরোধী দল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে৷ সংঘর্ষে এ পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন৷
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)