পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী
৩ অক্টোবর ২০১৭ব্যারি ব্যারিশ, কিপ থর্ন ও রেইনার ওয়াইসের এই আবিষ্কার ‘বিশ্বকে চমৎকৃত করেছে,' বলে সুইডেনের রয়্যাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর প্রধান গোরান কে হানসন মন্তব্য করেছেন৷
তিন বিজ্ঞানী ‘লিগো' বা ‘লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ অবজারভেটরি' প্রকল্পে বিশেষ অবদান রাখেন৷ পুরস্কারের অর্ধেক পাচ্ছেন ওয়াইস; ব্যারিশ ও থর্ন মিলে অবশিষ্ট অর্ধেক৷
একশ' বছর আগে আইনস্টাইন তাঁর ‘জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি'র অঙ্গ হিসেবে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের অস্তিত্বের সম্ভাবনার কথা বলেন৷ সেই মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গের চূড়ান্ত হদিশ পাওয়া যায় মাত্র দু'বছর আগে, ২০১৫ সালে৷
অ্যাকাডেমির প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই তিন বিজ্ঞানী ‘‘প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে, চার দশকের প্রচেষ্টার পর অবশেষে মাধ্যাকর্ষণ তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়েছে৷''
নোবেল পুরস্কার লাভের কথা জানার অব্যবহিত পরে রেইনার ওয়াইস বলেন, ‘‘এটা সত্যিই দারুণ৷''
পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জয়ের খবর পেয়ে অভিভূত ব্যারিশ বলেন, নোবেল অ্যাকাডেমির এই ঘোষণা ‘‘আইনস্টাইনের জন্য একটি জয় এবং একটি বিরাট জয়৷''
ডিনামাইটের সুইডিশ আবিষ্কর্তা আলফ্রেড নোবেল ১৮৯৫ সালে নোবেল পুরস্কার প্রতিষ্ঠা করেন৷ পুরস্কারের বর্তমান মূল্য হল ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার অর্থাৎ প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার ইউরো বা ১১ লাখ ডলার৷
তিনজন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী – ডেভিড জে দাউলেস, এফ ডানকান এম হ্যালডেন ও জে মাইকেল কস্টারলিট্জ – সুপারকন্ডাক্টর ও সুপারফ্লুইডের মতো বস্তুর কর্মপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে টোপোলজি বা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য প্রয়োগ করে পদার্থবিদ্যায় ২০১৬ সালের নোবেল পুরস্কার লাভ করেন৷ গত ২৫ বছর ধরে পদার্থবিদ্যায় একাধিক বিজ্ঞানী নোবেলে ভূষিত হয়ে আসছেন৷
সোমবার তিন মার্কিন বিজ্ঞানী – জেফ্রে সি হল, মাইকেল রসব্যাশ ও মাইকেল ডাবলিউ ইয়ং ‘সার্কেডিয়ান রিদম' বা ‘বডি ক্লক' সম্পর্কে গবেষণার জন্য ভেষজবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার জয় করেন৷
বুধবার রসায়নে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে; বৃহস্পতিবার ঘোষিত হবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম; শুক্রবার আসবে বহুপ্রতীক্ষিত শান্তি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঘোষণা৷
এসি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি, এপি)