1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মার তীরে তাদের কষ্ট, আনন্দ

সুলাইমান নিলয় ঢাকা
১৭ জুন ২০২২

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সাথে পদ্মা সেতুর মাধ্যমে যুক্ত হবে বাকি বাংলাদেশ৷ রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সেই ক্ষণ গণনার মাঝে সেতু নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নদী তীরের মানুষ৷ তবে বিড়ম্বনার গল্পও রয়েছে সংলগ্ন এলাকায়৷

https://p.dw.com/p/4Cqjg
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য সাতটি পুনর্বাসন সাইট গড়ে তোলা হয়েছেছবি: Suliman Niloy

বিক্রমপুর আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলামদের বাড়ি এখন কুমারভোগ পদ্মা সেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে৷ নতুন এই সেতুকে নিয়ে তার ঘর আর বন্ধু-মহলে এখন সাজ সাজ রব৷

বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনদের অনেকে পদ্মা সেতু দেখতে আসছেন৷ সেতু দেখে তাদের বাড়িও ঘুরে যাচ্ছেন৷ যারা আসছে না, তারাও নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছেন৷ আর এসব নিয়ে ভালোই সময় কাটছে তৌহিদুলের৷

পদ্মা সেতুর কারণে পূর্ব পুরুষদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে তাদের পরিবার৷ কুমারভোগ পুনর্বাসন সাইটে তাদেরকে প্লট দেয়া হয়েছে৷ তিনি জানিয়েছেন, তাদের ছেড়ে আসা সেই বাড়িতেই এখন গড়ে উঠেছে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের টোল প্লাজা৷

তৌহিদুল ইসলাম
তৌহিদুল ইসলামছবি: Suliman Niloy

এই সেতুর কারণে ঘর-বাড়ি হারালেও তাতে আফসোস নেই তার৷ বরং তিনি বলছেন, ‘‘এখন বরং জীবন আরো সহজ হয়েছে৷ সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে৷’’

পুরনো বাড়ির স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘‘তখন একটু বন্যা হলেই বাড়িতে পানি উঠতো৷ এখন আর সেটা হয় না৷ এলাকার যাতায়াত, পানি সরবরাহ, ড্রেনেজ সিস্টেম ইত্যাদি ক্ষেত্রে সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে৷’’

সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়, তাদের ছেড়ে আসা জমিতেই গড়ে উঠেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প৷

এতকিছুর পাশাপাশি এখনকার জীবন নিয়ে তার দুটো অভিযোগও রয়েছে৷ তাদের পুনর্বাসন সাইটে কোনো খেলার মাঠ নেই৷ আর ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করা হলেও সেখান থেকে ময়লা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার মতো কেউ নেই৷

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এই সেতুর কারণে ২০ হাজার ৭৫৫টি পরিবারের জমি গেছে৷ তাদেরকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে৷ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য ৭টি পুনর্বাসন সাইট গড়ে তোলা হয়েছে৷ এসব সাইটে প্লট রয়েছে ৩ হাজার ১১টি৷ এসব প্লটের আয়তন আড়াই-পাঁচ-সাত ডেসিমেল৷’’

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য সাতটি পুনর্বাসন সাইট গড়ে তোলা হয়েছে: পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী

বড় পুনর্বাসন সাইটগুলোতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিদ্যালয়, মসজিদের মতো সুবিধা দেখা গেছে৷ কোনো কোনোটিতে রয়েছে খেলার মাঠও৷

তিনি বলেন, ‘‘সবগুলোতে খেলার মাঠ নেই, তা ঠিক৷ আবার কোথাও কোথাও আছে৷ যেমন নাওডোবাতে আছে৷ যশোলদিয়ায় আছে৷’’

এসব এলাকায় নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে অনেকে তাদের অতিরিক্ত কক্ষ বা ঘর ভাড়াও দিচ্ছেন৷

কুমারভোগে খেলার মাঠ স্থাপনের দাবি প্রসঙ্গে রজব আলী বলেন, ‘‘এখন খেলার মাঠ স্থাপন করতে হলে কারো থেকে জমি নিতে হবে৷ যার জমি নিতে হবে, তাকে আবার জমি দিতে হবে৷’’

মানিকগঞ্জের কন্যা শাহিদা ইয়াসমিন এখন স্বামী-সন্তানদের নিয়ে তিন রুমের একটি ফ্লাটে ভাড়া থাকেন কুমারভোগ পুনর্বাসন এলাকায়৷ তার মেয়ে হাজেরা ইসলাম রাফিয়া এখন পড়াশোনা করেন কুমারভোগ পদ্মা সেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে৷ রাফিয়ার জন্ম এবং বেড়ে উঠা এই এলাকায়৷ এই এলাকাই তার কাছে ভালো লাগে৷

শাহিদা ইয়াসমিন ও তার মেয়ে হাজেরা ইসলাম রাফিয়া
শাহিদা ইয়াসমিন ও তার মেয়ে হাজেরা ইসলাম রাফিয়া ছবি: Suliman Niloy

শাহিদা ইয়াসমিন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখানে সুবিধা আছে৷ স্কুল কাছে৷ যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো৷ আশপাশের তুলনায় পরিবেশটাও ভালো৷’’

তিন বেড রুম, একটা ডাইনিং রুম, দুটো বাথ রুমের একটি ফ্লাটের জন্য এই পরিবারকে ভাড়া দিতে হয় ৭ হাজার টাকা৷

শাহিদা জানান, একটু ভালো ঘর বা ভবন যারা তৈরি করেছেন, তাদের সবার ঘরেই ভাড়াটে রয়েছে৷নিজের আশপাশে অন্তত তিনি তাই দেখেছেন৷

পদ্মা সেতু প্রকল্পের আওতায় তৈরি স্কুলগুলো এখনো জমজমাট বলে দাবি করেন সেগুলোর ছাত্র-শিক্ষকরা৷

কুমারভোগ পদ্মা সেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জামাল হোসেন বলেন, ‘‘এরকম চারটা বিদ্যালয় রয়েছে৷ এগুলোর শিক্ষার্থী সংখ্যা এক হাজারের বেশি৷ ২০২০ সালে ছিল ১২শ'র বেশি৷ প্রকল্পের কাজ শেষে অনেকে চলে যাওয়ায় এবং করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী কমে গেছে৷’’

Bangladesh | Schule
কুমারভোগ পদ্মা সেতু প্রাথমিক বিদ্যালয়ছবি: Suliman Niloy

তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিদ্যালয়ের পাসের হার শতভাগ৷ ২০১৯ সালে আমাদের দুইজন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে৷ সরকারি সব নিয়ম-কানুন মেনে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুটি এনজিও'র মাধ্যমে পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ আমাদের দেখাশোনা করবে৷ তাদের মাধ্যমেই আমাদেরকে বেতন-ভাতা দেয়৷ এর মাঝে  প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই চারটি বিদ্যালয়কে সরকারীকরণের উদ্যোগ নিয়েছে৷’’

‘পদ্মায় সেতু দেখার শখ ছিল পূর্ব প্রজন্মের’

পদ্মা সেতুর কারণে উচ্ছেদ হওয়া আরেক পরিবারের গৃহকর্ত্রী শুকুর জাহান৷

কেমন আছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আগের চেয়ে ভালোই আছি৷ এখন কেদাপানি পাড়ান লাগে না৷ কিছু পাড়ান লাগে না৷ আগে তো কেদাতে পাও খাইয়ালাইছে৷ পানি ভাইঙা বাইত্তে যাওন লাগছে৷ অহন তো রোডঘাট আমাগো হাসিনা খুব সুন্দর বানাই দিছে৷ খুব শান্তিতে আছি আল্লায় দিলে৷’’

তবে এই ‘ভালো থাকা’র মাঝেও একটা আক্ষেপের কথা জানালেন তিনি, ‘‘আগে যেমুন মনে করেন, আমরা গাছ গাছড়া বুইন্যা, তয়-তরকারি, হাঁস-মুরগি পালছি৷ অহন হেই পজিশনডা নাই৷ কিন্না আনতে পারলে খাই৷’’

ওহনতো রোডঘাট আমাগো হাসিনা খুব সুন্দর বানাই দিছে: শুকুর জাহান

বংশপরম্পরায় এই পদ্মার তীরেই বাস করেন শুকুর জাহান৷ তার বাবার বাড়ি এবং স্বামীর বাড়ি এখানেই৷ উত্তাল পদ্মায় সেতু দেখার ইচ্ছা তিনি শুনে এসেছেন তার পূর্ব প্রজন্মের মুরুব্বিদের মুখে, যা এখন তার জীবনে সত্য হয়ে এসেছে৷

তিনি বলেন, ‘‘আমাগো মুরুব্বিরা এই পদ্মাসেতু দেখনের লাইগা অনেক আউশ করছে৷ কইছে, আল্লা আমরা এয়া দেখতারুম না৷ আমরা মইরা গেলে হেই সময় এইডা অইবো৷ আমাগো ছেলে-সন্তানরা দেখতারবো৷’’

শুকুর জাহান বলেন, ‘‘মাঝে মাঝে কল্পনা করি, আমাগো বাপ-মা, শ্বশুর-শাশুড়িরা কইছে, হেরা ব্রিজ দেখনের লাইগা অনেক আউশ করছে৷ কিন্তু হেরা দেখতারে নাই৷ অহনে আমরা ব্রিজ দেখি৷’’

চোখের সামনে পদ্মা সেতুর মতো বিশাল নির্মাণযজ্ঞ হয়েছে, এটা দেখতেই ভালো লাগে ফিরোজা বেগমের৷ অথচ ফিরোজা বেগমও এই প্রকল্পের কারণে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন৷ অবশ্য উচ্ছেদের পর সেতু কর্তৃপক্ষের দেয়া নতুন ঠিকানাও পছন্দ হয়েছে তার৷

অতীত জীবনের সাথে তুলনা করতে বললে তিনি জানান, সেই জীবনে ঘরের কাজ সারতেন নদীর পানি দিয়ে, এখন ডিপ টিউবওয়েল আছে, পানির ট্যাংক আছে, যা তার জীবনকে সহজ করে দিয়েছে৷

দ্রব্যমূল্যের চাপের সঙ্গে আয় হারানোরও শঙ্কা

মাওয়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. শফিক খান৷ সেতু উদ্বোধনের দিন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে সময় পার করছেন তিনি৷

এখানে দ্রব্যমূল্য ঢাকার থেকে বেশি বেড়ে গেছে: ব্যবসায়ী মো. শফিক খান

তিনি বলেন, ‘‘আপনারা বাইরে থেকে এসে এখানে বাণিজ্যিক প্লট দেখেন, আবাসিক এলাকা দেখেন, কিন্তু এগুলো কিছুই না৷ আমরা কষ্ট অনুভব করি৷’’

তিনি বলেন, ‘‘পদ্মা সেতুতে বাইরের মানুষ চাকরি করতে আসার পর, চায়নারা আসার পর, এখানে দ্রব্যমূল্য ঢাকার থেকে বেশি বেড়ে গেছে৷ এখন বাজারে গেলে ৫শ টাকা, ১ হাজার টাকা নীচে মাছও পাওয়া যায় না৷’’

‘‘একটা মানুষ দৈনিক ৫০০ টাকা কামাইতে পারে না৷ সবকিছু মিলাইয়া যে খরচ, আয় থেকে ব্যয় অনেক বেশি৷’’

তিনি জানান, এখন সামনে রয়েছে বেকার হওয়ার শঙ্কা৷ কাজ হারানো, আয় হারানোর শঙ্কা৷

তিনি বলেন, ‘‘ঘাটের টাকা কেবল ঘাটে যারা কাজ করতো, তারাই খেতো না৷ কেউ বাড়ি ভাড়া দিয়েছে, এই টাকা এই এলাকায় আদান-প্রদান হতো৷ এখন কিন্তু সবকিছুই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷’’

সমাধান হিসাবে এলাকায় মিল, ফ্যাক্টরি গড়ে তোলার দাবি করেন তিনি৷

মাওয়া এলাকার আরেক বাসিন্দা মো. উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ‘‘পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হয়ে গেলে বেকারত্ব বাড়বে৷ আগে যেখানে প্রকল্পে এক  হাজার থেকে দুই হাজার লোক কাজ করতো৷ এখন ৫০-৬০জন কাজ করে৷ অলরেডি অনেকে বেকার হয়ে গেছে৷ যে কোম্পানি এখানে কাজ করছে, তারা অন্য জায়গায় কাজ করলেও সেখানে যেতে পারবে না৷’’

মাওয়া এলাকার বাসিন্দা মো. উজ্জ্বল হোসেন
মাওয়া এলাকার বাসিন্দা মো. উজ্জ্বল হোসেনছবি: Suliman Niloy

‘‘পদ্মা সেতু চালু হলে ঘাটের যাত্রী কমে যাবে৷ যাত্রী কমে গেলে দোকান কমে যাবে, হোটেল কমে যাবে, কর্মচারী কমে যাবে৷ এখন ফেরি, স্পিড বোট ট্রলার চলে৷ তখন কেবল ফেরি চলবে৷ মানুষ বেশি সময় ব্যয় করে ফেরি দিয়ে যাবে না৷ টাকা বেশি লাগলেও ব্রিজ দিয়ে যেতে চাইবে৷’’

‘‘সেতু উদ্বোধন হলে এলাকা উন্নত হলে যদি তখন কর্মসংস্থান হয়, ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থানে সরকারের কোন পরিকল্পনা থাকতেও পারে৷’’

‘‘সরকারের তরফে নানা প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও ফিরে আসা ব্যক্তিদের অনেকে সেই প্রশিক্ষণ কাজে লাগাতে পারছে না৷’’

‘‘প্রশিক্ষণ ভালোভাবে শেষ করা ব্যক্তিদের অনেকে পুঁজির সংকটের কারণে অর্জিত দক্ষতা কাজে লাগাতে পারছে না৷’’

জমির ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ

এক সময়ের কৃষক আতাউল হকও এখন বাস করেন পুনর্বাসন সাইটে৷ ৭০ বছরের এই প্রবীণ এখন একটি চা দোকান চালান তার নতুন বসতির পাশে৷ ৭ বছর হয়ে গেল, এখনো নতুন জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেননি তিনি৷

আগের জীবনটা ভালো ছিল: কৃষক আতাউল হক

তিনি বলেন, ‘‘আগের জীবনটা ভালো ছিল৷ ক্ষেতিখোলা খাইছি৷ চাষবাস করছি, গাই-গৃহস্থালি করছি, গরু-বাছুর পালছি৷ শাক পাইছি, পাতা পাইছি৷ এখন আর কিছু পাই না৷ অখন আডের লতা-পাতা, শাক-সবজি আনুম আর ঘাটের পানি৷ অহনে সব কিছু কিনা (ক্রয় করা)৷’’

তবে এর চেয়ে বড় একটি কষ্ট বুকে বয়ে বেড়ানোর কথাও জানান তিনি৷

তার জমি দুইভাবে সরকার অধিগ্রহণ করেছে উল্লেখ করে একটি জমির নির্ধারিত দাম নিয়ে আপত্তির কথা তোলেন তিনি৷ তার ভাষায়, ‘‘৫৪ শতাংশ জমি সরকার গাতা বানাইয়া থুইয়া দিছে৷’’

এই কথার ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, তার আর তার দুলাভাইয়ের জমি ছিল পাশাপাশি, সমান উঁচু৷ নিজের জমিতে নানা ফসলও ফলিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু সরকার যখন অধিগ্রহণ করলো, তখন সেই জমিকে গর্ত হিসাবে ধরে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে৷ এর ফলে তিনি বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন৷

ভগ্নিপতির সেই জমিতে প্রতি শতাংশে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেলেও তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার টাকা করে৷

পুনর্বাসন এলাকা
পুনর্বাসন এলাকাছবি: Suliman Niloy

যে কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণে এসেছিলেন, তারা ক্ষেতে ফসল দেখার পরও ভুল রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তার৷

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজব আলী বলেন, ‘‘প্রথমে ডিসি অফিস টাকা দেয়৷ এরপরে আমরা দেই৷ যখন ডিসি অফিস টাকা দিলো, তখন তিনি তার অবজেকশন দিলেন না কেন? জয়েন্ট ইনস্পেকশন যখন করা হয়, তখন ওই ব্যক্তিরও একটা সাইন নেয়া হয়৷ এখন আমি আপনাকে গদবাঁধা বলতে পারবো না৷ অবজেকশন থাকলে শুনানি হয়৷’’

তিনি বলেন, ‘‘ডিসিকে কনট্রোল করার ক্ষমতা আমার নাই৷ আমরা ডিসিকে টাকা দিয়ে দেই৷ এখন ডিসি অফিসে কেউ কিছু করলে সেটার দায়-দায়িত্ব আমাদের না৷’’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট অবজেকশন পেলে আমরা ডিসিকে অনুরোধ করতে পারি, আপনারা সেই ব্যবস্থাটা নেন৷ এরকম কোনো অভিযোগ আমরা পাই নাই৷’’

এখনো অভিযোগ দেয়ার সুযোগ আছে কি-না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে দেবে, তদন্ত হবে৷ আমরা তো চাই, ১০০ভাগ স্বচ্ছতার সাথে এই প্রকল্প করতে৷’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য