‘ভুল করবে’ যুক্তরাষ্ট্র
৬ মে ২০১৮মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানান, আগামী ১২ মে'র মধ্যে যদি পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে তেহরানের করা পরমাণু চুক্তির ‘ত্রুটিগুলো' ইউরোপীয় মিত্ররা সংশোধনে না করে তাহলে দেশটির উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে সেগুলো শিথিল রাখার মেয়াদ বাড়াবেন না তিনি৷
রবিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভশনে দেয়া এক ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট রোহানি অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পালটা হুমকি দিয়েছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দেশ পরমাণু চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের যে কোনো সিদ্ধান্ত প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে৷
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকা ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে আণবিক শক্তি সংস্থা এবং অর্থনৈতিক খাতকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ দেশটি যদি পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসে তাহলে একটি ভুল করবে৷''
ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানি ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি অব্যাহত রাখার পক্ষে থাকলেও ভবিষ্যতে দেশটির ‘ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রোগ্রাম'-এর কী হবে তা নিয়ে আলোচনায় রাজি আছে৷ দেশটির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির বেশ কিছু ধারা ২০২৫ সাল নাগাদ শেষ হয়ে যাবে৷ এরপর দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে এখনই আলোচনায় আগ্রহী দেশ তিনটি৷ পাশাপাশি সিরিয়া এবং ইয়েমেনে চলমান গৃহযুদ্ধে ইরানের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করতে চয় পশ্চিমা দেশগুলো৷
ইরান অবশ্য সম্পাদিত পরমাণু চুক্তির বিষয়ে নতুন করে আলোচনায় আগ্রহী নয়৷ বরং নিজেদের প্রতিরক্ষার স্বার্থে যতবেশি সম্ভব সমরাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি এবং জমা করে রাখতে চায় দেশটি৷
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার দাবি করেছেন, সিরিয়াকে উন্নতমানের সমরাস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান যা তাঁর দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ৷ তাই, তেহরানের সঙ্গে সংঘাতের প্রয়োজন হলে দেরি করতে রাজি নন তিনি৷
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে ইরানের আগ্রাসী মনোভাবের জবাব দিতে আমরা বদ্ধপরিকর৷ তার অর্থ যদি সংগ্রাম হয় তাতেও আপত্তি নেই৷ এক্ষেত্রে অপেক্ষার চেয়ে এখনি উদ্যোগ নেয়া ভালো৷''
উল্লেখ্য, ইসরায়েল একাধিকবার জানিয়েছে যে, সিরিয়ায় ইরানের স্থায়ী সামরিক উপস্থিতি সহ্য করবে না দেশটি৷ সিরিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হচ্ছে ইরান৷ দামেস্ককে নানা ধরনের সামরিক সহায়তা প্রদান করে তেহরান৷
এআই/ডিজি (রয়টার্স, এপি)