নিরাপত্তা সম্মেলন
২৬ মার্চ ২০১২সন্ত্রাসীদের হাতে যেন পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনো উপাদান যেতে না পারে সে বিষয়ে সম্মেলনে কথাবার্তা হবে বলে জানা গেছে৷ তবে আগামী মাসে রকেট উৎক্ষপণের যে ঘোষণা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া, সেটাই এবার সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠতে পারে৷ কেননা, কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণের জন্য এই রকেট উৎক্ষেপণের কথা পিয়ংইয়ং বললেও পশ্চিমা বিশ্বের ধারণা এর মাধ্যমে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হবে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আগ্রহে ২০১০ সালে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত প্রথম সম্মেলনো ২০১৪ সালের মধ্যে বিশ্বের যেসব জায়গায় পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপকরণ রয়েছে সেগুলো সুরক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়৷
কারা থাকছেন এই সম্মেলনে? প্রায় ৫৩টি দেশের সরকার প্রধান বা তাদের প্রতিনিধিরা থাকবেন৷ প্রেসিডেন্ট ওবামা ছাড়াও রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও, জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন - এরা উপস্থিত থাকবেন৷ এছাড়া ইইউ, ইন্টারপোল, আইএইইএ'র প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশ নেবেন বলে জানা গেছে৷
সম্মেলন শুরুর আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের উত্তর কোরিয়া আর ইরান নিয়ে বেশ কড়া কথা – বরফ গলবে কি? তিনি ঐ দুটি দেশকে তাদের পরমাণু কর্মসূচি বাতিল করতে বলেছেন৷ বিশেষ করে উত্তর কোরিয়া নিয়ে তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ হোয়াইট হাউস বলছে, ঐ বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেছেন যে, চীন উত্তর কোরিয়ার রকেট উৎক্ষেপণের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে৷ এবং তাদের উদ্বেগের বিষয়টি পিয়ংইয়ংকে জানানো হবে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট অ্যামেরিকার পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারের পরিমাণ আরও কমানোর অঙ্গীকার করেছেন৷ সৌলে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে ওবামা বলেন, মেয়ের বাবা হিসেবে তিনি চান না তাঁর মেয়েরা এমন কোনো পৃথিবীতে বেড়ে উঠুক যেখানে পরমাণু অস্ত্রের হুমকি থাকবে৷
রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন ওবামা৷ মেদভেদেভ'এর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘন্টা বৈঠক করেন তিনি৷ সিরিয়া সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানাতে এই দুই নেতা একমত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ