‘পরিবর্তনকে সবাই ভয় পায়’
১৭ মে ২০২৪‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে সরকারি চাকরির বয়সসীমা নির্ধারণ, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সেশনজট কমানো, নিম্ন ও মধ্যবিত্তের জন্য সরকারি চাকরির বিকল্প নিয়ে আলোচনা করতে অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান ও সাংবাদিক মাসুদ কামাল৷
মাসুদ কামাল বলেন, ‘‘মানুষ ৩৫ বছর পর্যন্ত কেন চাকরি খুঁজবে? আমাদের এইখানে পড়ালেখার যেই ফরম্যাট, মানুষ এখানে পড়ালেখা করেই একটা চাকরি পাওয়ার জন্য৷ ২৬ বছর বয়সে মাস্টার্স শেষ করে সে মাত্র ৪ বছর সময় পাচ্ছে চাকরি পাওয়ার জন্য৷''
টকশোতে উপস্থিত অপর অতিথি সাবেক শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘আমি এখনও মনে করি কাউকে বিসিএস ৩ বারের বেশি দিতে দেয়া উচিত না৷''
সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন বয়সসীমা থাকারই বা দরকার কী প্রশ্ন করলে এন আই খান বলেন, ‘‘উন্নত দেশ হতে হলে আমাদের প্রত্যেকের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে হবে৷ আমি যদি ১০ বছর ধরে চাকরি খুঁজি, তাহলে আমিতো কন্ট্রিবিউট করতে পারছি না৷''
শিক্ষার ফোকাসকে চাকরি থেকে সরিয়ে উদ্যোক্তার দিকে সরিয়ে নেয়াও প্রয়োজন বলে মনে করেন এন আই খান৷
সম্প্রতি চাকরির বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ বছরে বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী চাপে পরে তার ডিওলেটার প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করেন মাসুদ কামাল৷
বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনা করা হল এন আই খান বলেন, ‘‘বাংলাদেশ ও জার্মানি এক না৷ ইন্ডিয়ায় অনেক কিছুই আছে, যা বাংলাদেশে চালু করলে দুইদিন পরে মারামারি লেগে যাবে৷ বর্তমানে যারা মেধাবী, তাদেরকেই সিলেক্ট করা হচ্ছে বিসিএস-এ৷''
তবে তার পাল্টা যুক্তিতে মাসুদ কামাল বলেন, ‘‘পৃথিবীর কোন দেশের সাথে কোন দেশের মিলবে না৷''
তিনি মনে করেন, ‘‘সরকারি চাকরির বয়সসীমা ব্যাংকসহ আরও অনেকেই অনুসরণ করে৷ তাই সরকারি চাকরির বয়স যখন ৩৫ করা হবে, তখন বাকিরাও তা বাড়াতে পারে৷''
এসএইচ/এআই