পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী
সময়ের ধারাবাহিকতায় শতকরা হারে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংখ্যা কমেছে এবং বেড়েছে৷ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন পরিসংখ্যান জেনে নিন ছবিঘরে৷
বর্তমান সংখ্যা
বিবিএসের করা বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকসের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে মুসলিম জনগোষ্ঠী মোট জনসংখ্যার ৮৮ দশমিক ৪ ভাগ৷ হিন্দু এবং অন্য ধর্মাবলম্বী ১১ দশমিক ৬ ভাগ৷ ২০১১ সালের আদমশুমারির হিসাবে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ছিল ৯ দশমিক ৬ শতাংশ৷ সরকারি হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৪৬ লাখের হিসাবে তাদের সংখ্যা ১ কোটি ৭৪ লাখ৷
স্বাধীনতার পরে
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোট জনসংখ্যায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী কমে যাওয়ার হারে আবারো ধীরগতি দেখা যায়৷ ১৯৭৪ সালের প্রথম আদমশুমারিতে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর হার ছিলো ১৪.৬ শতাংশ৷ ২০১১ সালে সেটি কমে আসে ৯.৬ শতাংশে৷ অর্থাৎ বাংলাদেশ আমলে ৩৭ বছরে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শতকরা হার কমেছে ৫ শতাংশ৷ ১৯৭৪ সালে এ সংখ্যা হয় ১ কোটি চার লাখ ৩৯ হাজার৷
দেশভাগের আগে
১৯১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, সেসময় পূর্ব বাংলায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার ছিলো ৩১ শতাংশ৷ ১৯৪১ সালে ২৮ শতাংশ৷ অর্থাৎ ২০ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার কমেছে ৩ শতাংশ৷ তবে ১৯৪১ থেকে ১৯৭৪ সময় হিন্দু জনগোষ্ঠীর আনুপাতিক হার কমে যায় প্রায় ১৫ শতাংশ৷ এর মধ্যে ১৯৪৭ সালে ভারত-ভাগ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ বিভিন্ন কারণে হিন্দু-মুসলিম উভয়ের দেশান্তরী হওয়ার ঘটনা ছিল৷
পাকিস্তান আমলে
১৯৫১ সালের আদমশুমারিতে দেখা যায়, সেসময় পূর্ব পাকিস্তানে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ছিলো ৯৭ লাখ ৬ হাজার৷ ১৯৬১ সালের আদমশুমারিতে এ সংখ্যা ৯৯ লাখ ৫০ হাজার৷
সংখ্যায় কতোটা কমেছে
ভারত-ভাগের পর ১৯৫১ সালে ৯৭ লাখ ৬ হাজার থেকে ২০১১ সালে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৮ লাখে৷ কিন্তু সংখ্যাগুরু মুসলিমদের তুলনায় এই হার কমেছে৷ এই কমে যাওয়ার পরিসংখ্যান শুধু পাকিস্তান আমলে কিংবা বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পরই যে দেখা যাচ্ছে তেমন নয়৷ বরং ব্রিটিশ আমলেও এই অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের আনুপাতিক হার কমে যাওয়ার প্রবণতা ছিল৷ মুসলিমদের জন্মহার বেশি হওয়াকে এর কারণ হিসাবে দেখান কেউ কেউ৷