1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্নহাব বন্ধের দাবিতে অনলাইন পিটিশন

১২ মার্চ ২০২০

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্ন সাইট পর্নহাব ডটকম বন্ধে চালু করা এক অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন অনেক মানুষ৷ সাইটটির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে এমন পর্ন ভিডিও প্রকাশ এবং তা থেকে লাভবান হওয়ার অভিযোগ উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/3ZIdX
Logo Erotik-Videoplattform Pornhub
ছবি: picture-alliance/Geisler-Fotopress/C. Hardt

অনলাইন পিটিশন সাইট চেইঞ্জডটঅর্গে  পর্ন বিষয়ক ওয়েবসাইট পর্নহাব বন্ধের এবং সাইটটির মালিকদের বিচারের দাবিতে একটি পিটিশন চালু করা হয়েছে৷ ইতোমধ্যে সাড়ে চারলাখের বেশি মানুষ পিটিশনটিতে স্বাক্ষর করেছেন৷

পিটিশনকারী লায়লা মিকেলওয়েটের অভিযোগ, বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্ন ওয়েবসাইটটিতে যৌন নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ করা হচ্ছে৷ আর এই বিষয়ে সাইটটির কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ এমনকি সাইটটি মানবপাচারে সহায়তা করছে বলেও অভিযোগ তাঁর৷

২০১৯ সালে পর্নহাবে ভিজিটের সংখ্যা ছিল ৪২ বিলিয়ন অর্থাৎ প্রতিদিন সাড়ে ১১ কোটি ভিজিট হয় ওয়েবসাইটটিতে৷ গতবছর সাইটটিতে প্রকাশিত এডাল্ট ভিডিওর সংখ্যা ছিল ৬০ লাখ৷ যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংগঠন ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন সাইটটিতে গত তিনবছরে অন্তত ১১৮টি শিশু যৌন নিগ্রহের ভিডিওর সন্ধান পেয়েছে৷

পর্নহাবের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ আরো রয়েছে৷ গত বছর ১৫-বছর বয়সি এক কিশোরীর সন্ধান পাওয়া যায় পর্নহাবে যিনি প্রায় এক বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন৷ বিভিন্ন এডাল্ট ভিডিওতে তাকে ব্যবহার করা হচ্ছিল৷ এছাড়া ‘অ্যামেচার' তালিকায় সাইটটিতে অনেক ভিডিও প্রকাশের অভিযোগ রয়েছে যেগুলোতে থাকা ব্যক্তিদের অনুমতি নেয়া হয়নি কিংবা অন্যকোন উদ্দেশ্যে সেসব ভিডিও তৈরি করে সাইটটিতে প্রকাশ করা হয়েছিল৷ অনেকক্ষেত্রে দেখা গেছে, এধরনের কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলার অনুরোধ করা হলেও তা পুরোপুরি সরাতে ব্যর্থ হয়েছে পর্নহাব৷

পিটিশনকারী লায়লা মিকেলওয়েট মনে করেন, তাঁর করা পিটিশনের ফলে পর্নহাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে একইরকম অন্যান্য সাইটের ক্ষেত্রেও সেটা এক উদাহরণ হবে৷

পর্নহাব অবশ্য দাবি করেছে যে যেকোন ধরনের অবৈধ কন্টেন্ট মুছে ফেলতে সাইটটি সদা সচেষ্ট রয়েছে৷ এক্ষেত্রে গাফিলতির যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি করেছে পর্নহাব৷

এমিলি গর্ডাইন / এআই