পর্যবেক্ষক মিশনের মেয়াদ বাড়াবে না ইসরায়েল
২৯ জানুয়ারি ২০১৯ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার জানিয়েছেন, টেম্পোরারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেজেন্স ইন হেব্রন- টিআইপিএইচকে আর নতুন করে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দেয়া হবে না৷ সংস্থাটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন তিনি৷
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক টুইটে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করে, এমন কোনো আন্তর্জাতিক শক্তির উপস্থিতি আমরা মেনে নেবো না৷''
এই বিষয়ে নেতানিয়াহু অবশ্য আর বিস্তারিত কিছু বলেননি৷ ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, মেয়াদ না বাড়ানো হলে টিআইপিএইচ-এর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে বৃহষ্পতিবার৷ গত মাসে ইসরায়েলের পত্রিকা হারেৎস জানায়, টিআইপিএইচ-এর একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েল হেব্রনে নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে'৷
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা ইসরায়েলকে এই মিশনে থাকার জন্য চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ প্যালেস্টিনিয়ান ন্যাশনাল অথরিটি'র প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলছেন, নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্ত ‘অঞ্চলটিতে একটি উত্তেজনাকর ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি' সৃষ্টি করেছে৷
‘নিরাপত্তার বার্তা'
১৯৯৪ সালে মার্কিন বংশোদ্ভূত এক ইসরায়েলি নাগরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা করে৷ সেই নাগরিক উগ্র জাতীয়তাবাদী একটি রাজনৈতিক দলের সদস্য ছিলেন৷
ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান এমন আরো ভয়াবহ সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা হয় টিআইপিএইচ৷ এর লক্ষ্য ছিল ‘‘হেব্রন শহরে স্বাভাবিক জীবনযাপনেরপ্রক্রিয়া তদারকি ও এর ওপর প্রতিবেদন দেয়া এবং এর মাধ্যমে বাসিন্দাদের মনে একটি নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি করা''৷
কিন্তু গত এক দশক ধরেই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মিশনটির বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা রক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলে আসছেন৷ নিরস্ত্র এবং বেসামরিক ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত এই মিশনে ৬৪ জন পর্যবেক্ষক রয়েছেন৷ ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন ছাড়া ইটালি, নরওয়ে, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্কও এই মিশনের সদস্য৷
হেব্রন শহরে ছয়শ' ইসরায়েলি সেটেলার কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে বাস করেন৷ অন্যদিকে শহরটিতে বাস করেন প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি৷
এডিকে/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)