পাক-আফগান সীমান্তে জার্মান উগ্রবাদীদের গতিবিধি
৫ অক্টোবর ২০১০ইউরোপে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা, পাকিস্তান সীমান্তে জার্মান উগ্রবাদীদের উপর হামলা – এমন অনেক টুকরো খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ ক্রমশঃ এক সামগ্রিক চিত্রও উঠে আসছে৷ জার্মানি তথা ইউরোপ থেকে উগ্রবাদীরা যেভাবে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত এলাকায় তৎপর হয়ে উঠছে, তা বেশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এদের পূর্বপুরুষেরা প্রায় সবাই কোনো না কোনো ইসলামি দেশ থেকে ইউরোপে এসেছিলেন৷ ইউরোপীয় নাগরিকত্ব সত্ত্বেও তারা উগ্রবাদী ইসলামি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ৷ শুধু তাত্ত্বিক আলোচনা নয়, সরাসরি আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে এরা নিজেদের বিশ্বাসের জন্য লড়াই করতে চায়৷ জার্মানির পুলিশ সংগঠনের সভাপতি কনরাড ফ্রাইব্যার্গ মনে করেন, জার্মানিতে একশোরও বেশি কট্টর ইসলামপন্থি রয়েছে, যাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জনের বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ রয়েছে৷ জার্মান অপরাধ দমন দপ্তরের প্রধানের মতে, সংখ্যাটা চার'শর কাছাকাছি৷ ইউরোপ ও অ্যামেরিকার গোয়েন্দা দপ্তরগুলির মতে, প্রায় একশো জার্মান ইসলামি উগ্রবাদী পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় যাতায়াত করে চলেছে৷ হামবুর্গের তৈয়বা মসজিদ উগ্রবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ নাইন-ইলেভেন'এর হোতা মহম্মদ আটারও সেখানে যাতায়াত ছিল৷
এদিকে ফ্রান্সের পুলিশ মঙ্গলবার সন্ত্রাসী সন্দেহে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে৷ তাদের সঙ্গেও আফগানিস্তানের যোগসূত্র পাওয়া গেছে৷ কেনিয়ায় সন্ত্রাসী সন্দেহে এক জার্মান নাগরিকেরও খোঁজ চলছে৷ ঐ ব্যক্তি জার্মানি থেকে রওনা দেওয়ার আগে নিজের মাকে একটি চিঠিতে জানিয়েছিল, সে আর জীবিত অবস্থায় ফিরবে না৷ ২২শে সেপ্টেম্বর সে কেনিয়ার মোম্বাসা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়৷ সোমালিয়ায় আল কায়েদার ঘনিষ্ঠ আল শবাব গোষ্ঠীর সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ জার্মান কর্তৃপক্ষ কেনিয়াকে এবিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার