পাক সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা কেনিয়ায়
২৬ অক্টোবর ২০২২কেনিয়ার পুলিশের দাবি, তারা ভুল করে আরশাদকে মেরেছে। গত রোববার রাতে আরশাদ একটি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। রাস্তার ধারে গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল। সেখানেই কেনিয়ার পুলিশ এসে গুলি করে আরশাদকে হত্যা করে। পুলিশের বক্তব্য, ওরকমই একটি গাড়িতে করে একটি বাচ্চাকে অপহরণ করে পালাচ্ছিল এক অপরাধী। পুলিশ আরশাদকে অপরাধী ভেবেছে এবং গুলি করেছে।
কেনিয়ায় ইন্ডিপেনডেন্ট পুলিশ ওভারসাইট অথরিটি (আইপিওএ) ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, কেনিয়ার পুলিশ এরমভাবে আরো অনেককে গুলি করে মেরেছে।
আরশাদের স্ত্রী জাভেরিয়া সিদ্দিকি টুইট করে বলেছেন, ''আমি আমার বন্ধু, স্বামী ও প্রিয় সাংবাদিককে হারালাম।''
আরশাদের চ্যালেঞ্জ
শরীফ আগে পাকিস্তানের এআরওয়াই মিডিয়া হাউসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিক ছিলেন এবং পাকিস্তানের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
তিনি ছিলেন সেনার কট্টর সমালোচক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থক। পাকিস্তান মিডিয়ায় এই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, আরশাদ শরীফকে আসলে হত্যা করা হয়েছে।
গত অগাস্টে তিনি ইমরান খানের চিফ অফ স্টাফ শাহবাজ গিলের সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে গিল বলেছিলেন, সেনা যেন বেআইনি নির্দেশ অমান্য করে। এনিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়।
সাক্ষাৎকারের পর গিলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আরশাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তিনি প্রথমে দুবাই ও পরে কেনিয়া পালিয়ে যান।
শরীফের অ্যাটর্নি শোয়েব রাজ্জাক জানিয়েছেন, আমিরাতে আরশাদকে বলা হয়, তাকে সে দেশ ছেড়ে যেতে হবে, না হলে তাকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়া হবে। তারপর শরীফ কেনিয়ায় যান। কারণ, তারা পাকিস্তানিদের সহজেই সে দেশে ঢুকতে দেয়। রাজ্জাকের দাবি, আরশাদের হত্যা নিয়ে বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করতে হবে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফফি, রয়টার্স)