পাকিস্তান কি নিরাপদ?
২৭ জানুয়ারি ২০১৩আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সংগঠন এফআইসিএ-র প্রধান নির্বাহী টিম মে গত মঙ্গলবার বলেন, ‘আমি সংগঠনের সদস্যদেরকে নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানের ঘরোয়া টিটোয়েন্টি আসরে খেলতে যেতে বারণ করেছি৷' আগামী মার্চ মাসে এই ক্রিকেটের এই ছোট সংস্করণের ঘরোয়া আসর আয়োজন করতে যাচ্ছে সেদেশ৷
এখানে বলা প্রয়োজন, ২০০৯ সালের মার্চ মাসে লাহোরে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের গাড়ির বহরের উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা৷ শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা সেযাত্রায় বেঁচে গেলেও সেই ঘটনার পর থেকে আন্তর্জাতিক কোন দল পাকিস্তানে আর খেলতে যায়নি৷
পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা অবশ্য সেদেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন৷ সেদেশের ক্রিকেট দলের ম্যানেজার নাভিদ আকরাম চিমা বলেন, ‘‘পাকিস্তান ক্রিকেট খেলার জন্য নিরাপদ জায়গা৷ অন্যান্য দল নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে খেলতে আসে না, কিন্তু পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশের মতোই এখানে খেলাটা নিরাপদ৷''
বলাবাহুল্য, বিদেশি খেলোয়াড়দেরকে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে সন্তুষ্ট করাটা মোটেই সহজ কাজ নয়৷ এফআইসিএ-র বারণের পর বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য আরো সুযোগ সুবিধার কথা জানিয়েছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড৷ বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইন্স্যুরেন্স এবং এক লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত আয়করমুক্ত ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বোর্ড৷
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ এই বিষয়ে বলেন, পাকিস্তানে খেলতে আগ্রহী যেকোন বিদেশিকে এই ইন্স্যুরেন্স সুবিধা দেওয়া হবে৷
উল্লেখ্য, বিদেশিদের আস্থা ফেরাতে বাংলাদেশ দলকে পাকিস্তান সফরে আনতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড৷ তবে গত বছর দু'দফা পাকিস্তান সফরে আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে নিরাপত্তার কারণে এখনো সেদেশে যায়নি বাংলাদেশ জাতীয় দল৷ জবাবে, বাংলাদেশের ঘরোয়া টোয়েন্টিটোয়েন্টি আসরে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের খেলতে যেতে অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড৷
আইসিসি অবশ্য পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট আসরে বিদেশি খেলোয়াড়দের আমন্ত্রণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তবে পাকিস্তানের উপরে আস্থা অর্জনে বিদেশি খেলোয়াড়দের সময় লাগবে বলেও জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি৷