1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে আবারও আত্মঘাতী হামলা

২ ডিসেম্বর ২০০৯

পাকিস্তানে আবার আত্মঘাতী বোমা হামলা এবং এবার হামলার লক্ষ্য ইসলামাবাদে নৌবাহিনীর সদর দপ্তর৷ তালেবান সন্ত্রাসী হামলায় বিপর্যস্ত এই দেশে বুধবারের হামলায় নিহত হয়েছেন নৌবাহিনীর এক কর্মী ৷ আহত অন্তত ১১ জন৷

https://p.dw.com/p/Kp9W
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/dpa

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তালেবান-বিরোধী অভিযান সত্ত্বেও আত্মঘাতী হামলা কমার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷

আফগানিস্তানে তালেবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই সফল করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আরও ৩০ হাজার সৈন্য পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন এবং একই সাথে বলেছেন যে উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের নিজের লড়াই-এর উপর বহুলাংশে নির্ভর করবে এই লড়াই-এর সাফল্য৷ প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণার পর পরই আত্মঘাতী হামলা হল ইসলামামবাদে৷

এবারের হামলাকারীর বয়স খুবই কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ ইসলামাবাদের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফাজিল আসগার সাংবাদিকদের জানান, হামলাকারী পায়ে হেঁটে নৌবাহিনীর ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছায়৷ নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে চেক করে৷ নৌ বাহিনীর একজন পুলিশ তাকে তার জ্যাকেট খুলতে বলা মাত্রই সে বোমা ফাটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়৷ বিস্ফোরণে নিহত হন ঐ পুলিশ৷

পাকিস্তান নৌবাহিনীর মুখপাত্র ক্যাপ্টেন মুবিন বাজওয়া বলেন, এক ট্যাক্সিচালক হামলাকারীর সন্দেহজনক আচরণ সম্পর্কে অভিযোগ করায় তাকে নিরাপত্তারক্ষীরা গেটে থামিয়ে দেয়৷

পাঁচ নৌসেনা ও ছয় অসামরিক মানুষকে নিয়ে আহত হন মোট ১১জন৷ বোমার বিস্ফোরণে বহু গাড়ির জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়৷ রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে রক্তের দাগ৷ উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় আর এক আত্মঘাতী হামলায় প্রাদেশিক পরিষদের এক সদস্য নিহত হবার এক দিন পর এই হামলা হল ইসলামাবাদে৷

পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী ইদানিং বারবার সন্ত্রাসী হামলার লক্ষ্য হয়েছে৷ অক্টোবর মাসে জঙ্গিরা রাওয়ালপিন্ডিতে সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে হামলা চালায়, গ্রহণ করে পণবন্দি৷ একই মাসের শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা৷ ২০০৭ সালের জুলাই থেকেই জঙ্গি তৎপরতা অনেক বেশি জোরদার হয়েছে এবং তারপর থেকে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন ২৫৭০ জনেরও বেশি৷ চলতি বছরেই ইসলামাবাদ দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে আক্রমণ অভিযান চালিয়েছে এবং তার জবাব দিয়েছে জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে৷ পাকিস্তানের পশ্চিমি মিত্ররা অবশ্য চায়, সে তালেবান জঙ্গিদের রুখতে আরও বেশি সক্রিয় হোক৷

বুধবারের এই হামলার কঠোর নিন্দা করেছেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি৷ এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে,‘‘ এ ধরণের ঘটনা দেশে সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প থেকে সরকারকে টলাতে পারবে না৷''

প্রতিবেদক: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: আব্দুস সাত্তার