পাকিস্তানে সাধারণ মানুষের জীবন
আলোকচিত্রী মালোনো টে ২০১৪ সালে পাকিস্তানে গিয়ে সেখানকার সাধারণ মানুষদের জীবনযাত্রার ছবি তোলেন৷ ‘‘পাকিস্তানের প্রেমে পড়ে যেতে বেশি সময় লাগে না,’’ বলেছেন এই জার্মান শিল্পী৷
‘আজকের পাকিস্তান’
জার্মান আলোকচিত্রী মালোনো টে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন ছয় সপ্তাহের জন্য৷ সিন্ধ, বালুচিস্তান, পাঞ্জাব আর খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ সফর করে ১৫ হাজারের বেশি ছবি তোলেন তিনি৷ তার মধ্যে ২৭৭টি ছবি বেছে নিয়ে তিনি তাঁর ‘পাকিস্তান নাও’ বইটি প্রকাশ করেছেন৷
করাচির সন্ধ্যা
করাচি শহরে তাপমাত্রা যখন ৪৫ ছুঁয়েছে, তখন সন্ধ্যার দিকে মানুষজন পরিবারের সকলকে নিয়ে সাগরের তীরে বসে মুখরোচক খাবার খান আর অপেক্ষা করেন, পরের ঢেউটি কখন আবার খালি পায়ের নীচে শীতল আঁচল পেতে দিয়ে যাবে৷
‘আজ আমি স্বাধীন...’
মালোনো টে-র বক্তব্য হলো, পশ্চিমি মিডিয়ায় পাকিস্তানের মহিলাদের সারাক্ষণ পারিবারিক সহিংসতার শিকার হিসেবে দেখানো হয়৷ এই ছবিতে যে শিক্ষিতা তরুণীকে দেখা যাচ্ছে, তিনি কিন্তু কোনো বাধা-বাঁধন মানতে রাজি নন৷
কনের সাজে...
পাকিস্তানে অনেক বিবাহবাসরে যাবার আমন্ত্রণ পেয়েছেন মালোনো টে৷ এত অতিথির ভিড়, এত খাওয়াদাওয়া, নাচগান - বিয়ে তো নয়, যেন উৎসব বলে মনে হয়েছে মালোনোর!
ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ...
...যদিও তাঁদের অনেকেরই ভগ্নদশা৷ নয়তো মকলি কবরখানার আয়তন হলো ১০ বর্গকিলোমিটার; এখানে পাঁচ লাখ কবর ও স্মৃতিসৌধ আছে৷ ১৯৮১ সালে এই গোরস্তানটিকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়৷ এখানে চতুর্দ্দশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর স্থাপত্যের বিভিন্ন নিদর্শন রক্ষিত আছে৷
জাহাজ ভাঙা
বালুচিস্তানের গড়ানিতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জাহাজ ভাঙার ইয়ার্ড আছে৷ একটা জাহাজ ভাঙতে এখানকার কর্মীদের তিন মাস সময় লেগে যায়৷
তুলোর মতো হালকা!
কাপাস তুলো নিয়ে যাওয়ার ট্রাকগুলোকে যেভাবে বোঝাই করা হয়, তাতে তারা হাইওয়ের একটা লেনের বদলে প্রায় দুটো লেন জুড়ে চলে!
পাকিস্তানের সংখ্যালঘু
মানোলো টে-র বইতে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের জীবনও দেখানো হয়েছে৷ এই ছবিতে সিন্ধ প্রদেশের কিছু হিন্দু মহিলাদের দেখা যাচ্ছে৷ এরা বাস করেন সিন্ধু নদীর তীরে সক্কর শহরে৷ মানোলো এদের অতিথি হয়েছিলেন৷
তুলে আছাড়
পাকিস্তানের গ্রামাঞ্চলে কুস্তি খেলা খুব জনপ্রিয়৷ বাৎসরিক মেলা কি পরবে কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷
ইমামের সঙ্গে সাক্ষাৎ
মানোলো টে ইসলামাবাদের প্রখ্যাত শাহ ফয়সাল মসজিদের ইমামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পান৷ ইমাম তাঁকে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সম্প্রীতির কথা বলেন৷
সুফি সংস্কৃতির ঝলক
লাহোরে প্রতি বৃহস্পতিবার বাবা শাহ জামালের মাজারে সুফি সংগীতের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, যা শোনার জন্য বহু মানুষ ভিড় করেন৷