পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমে একদিনে নিহত ৮১ জন
২৫ ডিসেম্বর ২০১০দুটো ঘটনা ঘটেছে৷ এর মধ্যে একটা আত্মঘাতী হামলা, আর অন্যটি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান৷ আত্মঘাতী হামলাটি হয়েছে বাজাউর জেলার একটি ত্রাণ কেন্দ্রে৷ সেখানে এক হামলাকারী বোমা হামলা চালালে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হন৷ আর আহত হয়েছেন ৬০ জন৷ বলছেন, সোহাইল খান নামের এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা৷ এদিকে হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় হাসপাতালের ডাক্তার মোহাম্মদ হাফিজ৷ উল্লেখ্য, বাজাউর হলো পাকিস্তানের সাতটি উপজাতীয় জেলার মধ্যে একটি, যেখানে রয়েছে জঙ্গিদের আস্তানা৷ একজন মহিলা এই আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্য এক কর্মকর্তা তারিক খান৷ তবে কেউ কেউ বলছেন একজন পুরুষই বোরকা পরে হামলাটি করেছে৷
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান
অভিযানটা হয়েছে আরেকটি উপজাতীয় এলাকায়৷ যার নাম মোহমান্দ৷ অভিযানটা ছিল মূলত জঙ্গিদের একটি হামলার জবাব৷ গতকাল জঙ্গিরা পাঁচটি চেকপয়েন্টে ঐ হামলা চালিয়েছিল৷ সেই ঘটনায় আধা সামরিক বাহিনীর ১১ জন নিহত হয়েছিলেন৷ এরপরই নিরাপত্তা বাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় অভিযানের৷ তারা জঙ্গিদের বিভিন্ন গোপন আস্তানায় হামলা করে৷ এছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও হামলা চালানো হয়৷ ফলে কমপক্ষে ৪০ জঙ্গি নিহত হয়েছে, বলে জানিয়েছেন মোহমান্দের শীর্ষ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমজাদ আলি খান৷
কেন এত ভয়ংকর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল
ঐ এলাকায় জঙ্গিদের আনাগোনা ছিল আগে থেকেই৷ তবে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যখন মার্কিন যুদ্ধ শুরু হয় তখন অনেক জঙ্গি পালিয়ে ঐ এলাকায় চলে যান৷ ফলে বেড়ে যায় জঙ্গির সংখ্যা৷ এরপর সরকারের পক্ষ থেকে যখন মাঝে মধ্যেই জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালানো হতো তখন থেকে জঙ্গিরা আত্মঘাতী হামলা শুরু করে৷ আর তাদের লক্ষ্য হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য৷ সঙ্গে সাধারণ মানুষ৷ বিশেষ করে ২০০৭ সালে সরকার জঙ্গিদের একটি মসজিদে অভিযান চালায়৷ এরপর থেকে শুরু হওয়া বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার মানুষ মারা গেছেন বলে জানা যায়৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা