পাকিস্তানের কোয়েটায় আত্মঘাতী হামলা, মৃত তিন
৬ সেপ্টেম্বর ২০২১রোববার এই বিস্ফোরণ হয়েছে কোয়েটা-মাসটুঙ্গ রোডের একটি চেকপোস্টে। এই চেকপোস্টটি কোয়েটা শহরের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে। সেখানেই আত্মঘাতী হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এই আত্মঘাতী হামলাকারী মোটর সাইকেলে এসেছিল, না কি হেঁটে এসেছিল তা নিয়ে বিরোধী বয়ান রয়েছে।
তবে তেহরিক-ই-তালেবান এই আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন।
এই অঞ্চলে বালুচ লিবারেশন আর্মি এবং বালুচ লিবারেশন ফ্রন্ট খুবই সক্রিয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই অঞ্চলের স্বাধীনতার দাবিতে লড়ছে। তাদের অভিযোগ, পাকিস্তান সরকার এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার করছে।
বিস্ফোরণ নিয়ে যা জানা গেছে
কোয়েটার মিঞা ঘুন্ডি এলাকার আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরাই বিস্ফোরণের লক্ষ্য ছিলেন বলে সংবাদসংস্থা এএফপি জানাচ্ছে। এই এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রীতিমতো সক্রিয়। এই এলাকাটি আফগান সীমান্তের কাছে। হাজারা মুসলিম ব্যবসায়ীরা সকালে এই এলাকায় সব্জি বিক্রি করে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের ফলে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে অনেকে সাধারণ মানুষ।
এই এলাকায় এর আগেও শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ আক্রমণের মুখে পড়েছেন। চরমপন্থি গোষ্ঠী হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ মনে করছে।
বালুচিস্তানে অশান্তি চলছে
গত মাসেই এক আত্মঘাতী হামলায় দুই জন মারা গেছেন। দুই জনই শিশু। চীনা কর্মীদের নিয়ে যাওয়া একটি গাড়ির কাছে এই বিস্ফোরণ হয়। দুই শিশু কাছে খেলা করছিল। তারা মারা যায়। একজন চীনা নাগরিক ও দুই পাকিস্তানি নাগরিক আহত হন।
গত মাসে সন্ত্রাসবাদীরা কোয়েটায় জাতীয় পতাকা বিক্রি করা হচ্ছিল এমন একটি দোকানে হ্যান্ড গ্রেনে়ড ছোঁড়ে। এর ফলে একজন মারা যান এবং চারজন আহত হন। সম্প্রতি টোবো-গিরচিক এলাকায় বিদ্রোহীদের পেতে রাখা মাইনে পাকিস্তান সেনার একটি গাড়ি উড়ে যায়। এর ফলে মারা যান ক্যাপ্টেন কাশিম। দুই জন সেনা আহত হয়েছেন।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি)