পাকিস্তানের জঙ্গিদের নয়া হাতিয়ার ফেসবুক, টুইটার
২১ আগস্ট ২০১০পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসলাম ধর্মের মধ্যে সংঘাত কোথায়, অ-মুসলিম বা ‘কাফের'দের বিরুদ্ধে হিংসা কেন ন্যায্য – ঘৃণা ছড়ানোর এই সব বাণী প্রচার করার পথ বন্ধ, কারণ পাকিস্তানে তাদের সংগঠন নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ ফলে তারা এখন বিচরণ করছে ইন্টারনেটের ‘ভারচুয়াল' জগতে৷ পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ ‘ইসলাম বিরোধী' অবস্থানের জন্য অনেক ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও ইন্টারনেটে ইসলামি উগ্রবাদীদের ঘৃণার বাণী বন্ধ করার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেয় নি৷ ইসলাম ধর্মের মহানবীর চিত্র আঁকার এক প্রতিযোগিতার ঘটনার জের ধরে পাকিস্তানে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ সেসময়ে দেশের তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, সেন্সর করার জন্য নয় – দেশে শান্তি বজায় রাখতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়েছে৷
পাকিস্তানে তালেবান শক্তির উত্থান ও উগ্রবাদীদের কার্যকলাপ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ আমির রানার মতে, তারা এখন ফেসবুক বা টুইটারের মতো সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটকে পুরোপুরি কাজে লাগাচ্ছে৷ যেমন নিষিদ্ধ ঘোষিত উগ্রবাদী সুন্নি সংগঠন ‘সিপা সাহাবা' বা ‘জামাত-উদ-দাওয়া'র নিজস্ব ফেসবুক পেজ রয়েছে৷ ‘খতম-এ-নবুওয়াত'এর মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনও দিব্যি ফেসবুক'কে কাজে লাগাচ্ছে৷ টুইটার'এর মাধ্যমে আফগানিস্তানের জন্য রসদবাহী ন্যাটো ট্রাকের উপর হামলার ডাক দিয়েছে ‘হিজবুত তাহির' নামের সংগঠন৷ তাদের অনেকে জনগণের মধ্যে এসএমএস বার্তাও ছড়িয়ে দিচ্ছে৷
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশ্নে কতটা আন্তরিক, সেবিষয়ে বার বার প্রশ্ন উঠছে৷ মুখে উগ্রবাদী দমনের কথা বলেও সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের তোয়াজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে৷ তবে যে কোনো ওয়েবসাইট শান্তি ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধেও এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই