পাকিস্তানের ৬২তম স্বাধীনতা দিবস
১৪ আগস্ট ২০০৯তালেবান জঙ্গিরা সেখানে নাচ-গান, এমনকি মেয়েদের লেখাপড়াও নিষিদ্ধ করেছিল৷ সেই সোয়াতে শুক্রবার নাচ-গান হলো প্রকাশ্যে৷ দেশের ৬২ তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নির্দ্বিধায় অংশ নিয়েছেন মেয়েরা৷ অনুষ্ঠানে হাজির স্থানীয় স্কুলের এক শিক্ষিকা বলছিলেন, ‘আমরা যে তালেবানের হাত থেকে মুক্ত হতে পেরেছি সেজন্য আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷ আশা করছি ওরা আর ফিরে আসবেনা৷'
সোয়াত উপত্যকায় তালেবান ফিরে আসতে পারে এ আশঙ্কা এখনো রয়ে গেছে স্থানীয় মানুষদের মাঝে৷ তবে সরকার এ আশঙ্কা বা আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা শুরু করেছে৷ সেনা অভিযান শুরুর পর তালেবান জঙ্গিরা সোয়াত এলাকা ছেড়েছে৷ তবু তাদের ফেরার আশঙ্কা আছে এবং থাকবেও যদি না ওই এলাকায় জঙ্গিদের উত্থানের অন্যতম প্রধান কারণটাকে চিহ্নিত করা যায়৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, সোয়াতসহ আধা স্বায়ত্বশাসিত সাতটি পার্বত্য অঞ্চল (এফএটিএ) পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন বলেই এমনটি হচ্ছে৷ এলাকাগুলোতে এতদিন রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল৷ ৬২তম স্বাধীনতা দিবসে এ অবস্থা বদলানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার৷ প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি শুক্রবার সোয়াতে ওই সাতটি পার্বত্য অঞ্চল থেকে রাজনৈতিক নিষেদ্ধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেন ঘোষণা দেন, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘ আজ থেকে ফাতা অঞ্চলে সবাইকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে৷ এসব অঞ্চলের মানুষ বিচ্ছিন্ন থাকুক এটা আমরা চাই না৷ আমরা মনে করি, প্রত্যেক এ দেশের প্রত্যেক নাগনিকের ক্ষেত্রে পাকিস্তানি আইনই বলবৎ হওয়া উচিত৷
ওদিকে সোয়াত এবং বাকি ছয়টি আধা স্বায়ত্বশাসিত পার্বত্য এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরুর ঘোষণার দিনে পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানীও দেশের শান্তির ওপরই গুরুত্ব আরোপ করেন৷ স্বাধীনতা দিবসে তিনি বলেন, সবার মনোজগতে একটু পরিবর্তন আনলেই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ মুছে ফেলা সম্ভব, তাঁর মতে, ‘ জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থাকে সফলভাবে মোকাবেলা করতে হলে দূর জাতিগতভাবে আমাদের সবার ভাবনার জগতে পরিবর্তন আনতেই হবে৷'
প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক