1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পানি বাড়লেও ডুববে না বাংলাদেশ

২৩ এপ্রিল ২০১০

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসির ভবিষ্যদ্বাণীকে চ্যালেঞ্জ করেছে দেশটির একদল পরিবেশ বিশেষজ্ঞ৷

https://p.dw.com/p/N46R
ফাইল ফটোছবি: DW

তাদের কথায়, পলিমাটির ফলে বাংলাদেশে নতুন যে ভূমি সৃষ্টি হচ্ছে তা আইপিসিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি৷

জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে ২০০৭ সালে প্রকাশিত আইপিসিসি'র প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় যে, সমুদ্রসীমার উচ্চতা তিন ফুট বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ এলাকা তলিয়ে যাবে এবং এর ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির দুই কোটি মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হবে৷

বলা বাহুল্য, আইপিসিসি'র এই ভবিষ্যদ্বাণী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে সামনের দিকে নিয়ে আসে বাংলাদেশকে৷ কিন্তু এখন দেশটির পরিবেশবিদরা বলছেন, আইপিসিসির প্রতিবেদনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি মোকাবিলায় পলিমাটির ভূমিকাকে বিবেচনা করা হয়নি৷ অথচ নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সমুদ্র সীমার উচ্চতা ১ মিটার বৃদ্ধি পেলেও পলিমাটির কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল সুরক্ষিতই থাকবে৷

এই প্রসঙ্গে ঢাকা নির্ভর গবেষণা প্রতিষ্ঠান সি.ই.জি.আই.এস'এর পরিচালক মমিনুল হক সরকার বলেন, পলিমাটির দ্বারা হাজার হাজার বছর ধরে বাংলাদেশের উপকূল গড়ে উঠেছে৷ তিনি আরো বলেন, নতুন গবেষণায় আরো দেখা গেছে, সমুদ্রসীমার উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পলিমাটির কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের উচ্চতাও বাড়বে৷

কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করেছেন বিশিষ্ট জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ডঃ আইনুন নিশাত৷ বিশেষত পলি মাটির ফলে কি পরিমাণ ভূমি গড়ছে আর অন্যদিকে কি পরিমাণ ভূমি ভাঙছে সেটাও বিবেচনা করতে হবে বলে মত তাঁর৷ তাছাড়া এভাবে ভূমি সৃষ্টির প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতির বলেও জানান তিনি৷ ডয়চে ভেলেকে ডঃ নিশাত বলেন, ‘‘আমরা যদি একটা টাইম স্কেলে ফেলে দশ বছর পর পর দেখি কতটা গড়লো, কতটা উঠলো - তাহলে খুব একটা পরিবর্তন চোখে পড়বে না৷ ভুমি উঠতে পারে, তবে সেটা প্রাকৃতিকভাবে উঠবে না৷ যদি আমি ক্রস ড্যাম করি, যেমন ক্রস ড্যাম নম্বর ১ এবং ২ এর কারণে নোয়াখালীতে কিছু জমি উঠেছিল৷''

এদিকে, সি.ই.জি.আই.এস এর গবেষণার প্রতিক্রিয়ায় আইপিসিসি চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র পাচোরি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, শুধুমাত্র একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবেনা৷ তিনি বলেন, ২০০৭ সালে আইপিসিসি বাংলাদেশ সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার আগে বেশ কয়েকটি গবেষণা বিবেচনায় এনেছিল৷ তবে, নতুন এই গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন পাচোরি৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক