1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারলো না টাইগাররা

১৫ জুন ২০১৭

২৫ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২৷ স্কোরবোর্ড আর গ্যালারি দেখে মনে হচ্ছিল উড়ছে বাংলাদেশ৷ যে কোনো বোলিং লাইনআপের জন্য জ্বর উঠে যাওয়ার মতো ব্যাপার৷ কিন্তু শেষ রক্ষা আর হয়নি৷ বাংলাদেশ দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দৌঁড় থামলো সেমিফাইনালেই৷

https://p.dw.com/p/2elpF
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ রোহিত শর্মা
ছবি: Reuters/P. Childs

প্রথম দিকে কিছুটা ধুঁকে স্বমহিমায় ফিরে আসা তামিম আর স্পিনারদের জন্য কঠিন ব্যাটসম্যান মুশফিক তখনো উইকেটে৷ দু'জনই পার করেছেন ফিফটি৷ ৩০০ যে পার হবে তাতে সন্দেহ করার সাহসই যেন পাচ্ছিলেন না কেউ৷  কিন্তু কি হয়ে গেল৷ এক কেদার যাদব টার্নবিহীন অফস্পিন নিয়ে একে একে ধ্বসিয়ে দিলেন দু'জনকেই৷ বাকিরাও এরপর তেমন ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখাতে পারলেন না৷ ফলে বাকি ২৫ ওভারে ৩০০ তো দূরের কথা রান দ্বিগুনই করা গেল না৷ ৭ উইকেটে ২৬৪ রানে থামল বাংলাদেশের ইনিংস৷ 

ICC Champions Trophy Cricket - Bangladesch vs. Indien
মুশফিক রহিম আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলির প্রতিক্রিয়ার এই ছবিটি ভাইরাল হয়ে গেছেছবি: Reuters/A. Boyers

প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে এসে বাংলাদেশের গত সাত বড় টুর্নামেন্টের ছয়টিতেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা ভারতের বিপক্ষে টস জেতাটা খুব দরকার ছিল৷ কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা৷ হাল্কা বৃষ্টির ঝাপটায় খেলা একটু দেরিতে শুরু হয়৷ এজবাস্টনের ব্যাটিং স্বর্গে টসে জিতে বোলিং নিয়ে হাল্কা মুভমেন্টও পাচ্ছিলেন ভারতের ভুবেনশ্বর কুমার ও বুমরাহ৷ সৌম্যর উইকেট নিয়ে শুরুটাও ভালো করে তারা৷ এরপর নেমেই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন সাব্বির৷ ভারতের বোলিং পরিকল্পনায় ছন্দপতনও ঘটান ৪টি চারে ২১ রান তুলে৷ কিন্তু সেই ভুবেনেশ্বরের পরিণত বোলিংয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন৷ 

তামিমকে শুরুতে ছন্দহীন মনে হলেও পান্ডিয়ার বলে ১২ রানে লাইফ পেয়েই যেন ঘুরে দাঁড়ান৷ ১২৩ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচে টাইগারদের চালকের আসনে নিয়ে আসেন তামিম-মুশফিক৷ তামিম ৭০ আর মুশফিক ৬১ রানে সাজঘরে ফেরেন৷ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অত্যন্ত পরিণত ব্যাটিং করা সাকিব ও মাহমুদুল্লাহও বেশি সুবিধা করতে পারেননি৷ ৪০তম ওভারে ২০০ রান পার করা বাংলাদেশের সামনে তখনো সুড়ঙ্গের ওপারে আশার আলো৷ উইকেটে মাহমুদুল্লাহ ও মোসাদ্দেক৷ কিন্তু ভারতীয় বোলার বুমরাহ ফিরে কিপটে বোলিং তো করলেনই, এই দু'জনকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখালেন৷ শেষদিকে মাশরাফির ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংসটি আফসোস কমাতে পারেনি টাইগার সমর্থকদের৷ 

২৬৫ টার্গেটটিকে খুব একটা ভয়ংকর মনে হচ্ছিল না যখন ব্যাটিংয়ে এলেন ভারতের দুই ইনফর্ম ওপেনার রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান৷ চার পেসার নিয়ে মাঠে নামলেও মাশরাফি ছাড়া আর কাউকেই সমীহ দেখাচ্ছিল না তাদের ব্যাট৷ ৯৮ বলে ১০০ রান তুলতে ভারতকে খোয়াতে হলো শুধু ধাওয়ানের উইকেটটিই৷ মাশরাফি তাঁকে ফেরালেন অর্ধশত থেকে চার রান দূরে রেখে৷ এরপর অধিনায়ক বিরাট কোহলি আর রোহিত শর্মাদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি মুস্তাফিজ, রুবেল, তাসকিনরা৷ একরকম দাপুটে ব্যাটিং করেই রোহিত তুলে নিলেন তাঁর ক্যারিয়ারের ১১তম ওডিআই শতক৷ আর কোহলি তাঁর ১৭৫-তম ম্যাচে ৮,০০০ রানের ক্লাবে পৌঁছালেন, যা কিনা সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে এই মাইলফলক অর্জনের নতুন রেকর্ড৷ সবমিলিয়ে ৯ ওভার ৫ বল হাতে রেখেই ২২ গজের উইকেটে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল ভারত৷ রোহিত ১২৩ ও কোহলি ৯৬ রানে অপরাজিত রইলেন৷ হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেও বোলিংয়ে তার কিছুই দেখাতে পারেনি টাইগাররা৷ এমন দাপট দেখিয়ে চরম আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফাইনালে ভারত মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের৷ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে এই প্রথম মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী৷ রোববার ওভালে অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ৷