1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পালিয়ে যাওয়া সন্দেহভাজন খুনি ইরাকে আটক

৮ জুন ২০১৮

জার্মানি থেকে পালিয়ে যাওয়া ইরাকি সন্দেহভাজন খুনি ইরাকে ধরা পড়েছে৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার খবরটি নিশ্চিত করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2z8k6
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler

এক সন্দেহভাজন খুনির নির্বিঘ্নে জার্মানি ছেড়ে পালানো নিয়ে শোরগোল বেধেছিল৷ ভুল নাম ব্যবহার করে কিভাবে ইরাকি বংশোদ্ভূত এই ব্যক্তি জার্মানি ছাড়লেন, তা তদন্তের দাবিও উঠেছিল জোরেসোরে৷

শুক্রবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, উত্তর ইরাক থেকে সন্দেহভাজন খুনিকে ধরা হয়েছে৷

১৪ বছরের মেয়ে সুজানাকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে ২০ বছর বয়সি আলী বি.-র বিরুদ্ধে৷ পুলিশ বলছে, গত সপ্তাহে জার্মানির ড্যুসেলডর্ফ থেকে বিমানে ইস্তানবুল হয়ে ইরাক গেছেন বি.৷ আর সে সময় তার সাথে তার পরিবারের আরও ৭ সদস্যও ছিলেন৷

প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ভিসবাডেন শহরের শরণার্থী শিবিরে যে নামে তাদের নিবন্ধন ছিল, বিমানবন্দরে ইস্যু করা টিকেটের সাথে তার কোনো মিল নেই৷

একই শিবিরে বাস করা ১৩ বছরের এক শরণার্থীর কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকতে পারেন আলী বি.৷ তবে ততক্ষণে জার্মানি ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন তিনি৷ তবে আগে থেকেই ১১ বছরের আরেক মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগসহ নানা ঘটনায় পুলিশের নজরে ছিলেন বাশার৷

কড়া সমালোচনা

আলী বি.র নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাওয়ার পর সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন স্তরের রাজনীতিকরা৷ সামাজিক গণতন্ত্রী দলের নেতা কারস্টেন শ্নাইডার জার্মান পত্রিকা বিল্ড-কে বলেছিলেন, ‘‘কিভাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তি পালালো এবং কিভাবে তাকে জার্মানি ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখিন করা যাবে, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যাখ্যা দিতে হবে৷’’

এসপিডির এক মুখপাত্র বুরখার্ড লিশকা দায় চাপিয়েছেন হর্স্ট সেহোফারের ওপর৷ একই পত্রিকাকে দেয়া বক্তব্যে তার দাবি, জার্মানিতে প্রবেশ ও প্রস্থানের বিষয়ে যে পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে, তা যেন সঠিকভাবে কাজে লাগানো হয়৷ তিনি মনে করেন, এতে কারো কাগজপত্র নিয়ে সন্দেহ হলে দ্রুতই ফেডারেল পুলিশের মাধ্যমে অপরাধীকে সনাক্ত করা সম্ভব হতো৷

তবে এই ইস্যুতে সবচেয়ে সরব শরণার্থীবিরোধী দল অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচলান্ড (এএফডি)৷ দলের সংসদীয় উপপ্রধান এলিস ভিডেল সরকারের পদত্যাগ দাবি করেহেন৷ টুইটারে তিনি বলেছেন, ‘‘সুজানা চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের স্বার্থপর শরণার্থী নীতির আরেক শিকার৷’’

এডিকে/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)