পাহাড়ের রানি দার্জিলিং
প্রায় শখানেক বছর আগে হিমালয়ের কোলে গরমের আস্তানা হিসেবে দার্জিলিং শহর গড়ে তুলেছিলেন ব্রিটিশরা। সেই দার্জিলিং এখনো পশ্চিমবঙ্গের আকর্ষণ। দার্জিলিং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা অভিজ্ঞতা।
পাহাড়ের রানি
গরম কালে স্বস্তি পাওয়ার জন্য হিমালয়ে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ফুট উচ্চতায় দার্জিলিং শহর তৈরি করেছিলেন ব্রিটিশরা। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।
কলকাতা থেকে এক রাত
কলকাতা থেকে রাতের ট্রেনে চড়লে পরদিন ভোরবেলা পৌঁছানো যায় শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গাড়িতে তিন ঘণ্টার রাস্তা দার্জিলিং।
হেরিটেজ রেল
এক সময় শিলিগুড়ি থেকে টয় ট্রেনে পাহাড়ের গা ধরে দার্জিলিং পৌঁছানো যেত। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ এই টয় ট্রেন। এখন অবশ্য দার্জিলিং থেকে টয় ট্রেনের জয় রাইড মেলে। শিলিগুড়ি থেকে আর ছাড়ে না।
দার্জিলিং ম্যাল
দার্জিলিং ম্যালকে বলা যেতে পারে পাহাড়ের ছাদ। বিশাল চাতালে ছড়ানো ছিটানো বসার জায়গা আর নানান দোকান। আকাশ পরিষ্কার থাকলে ম্যালে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার অভিজ্ঞতাই আলাদা।
ম্যালের রাস্তা
কোবাল্ট স্টোনে বাঁধানো ম্যালের রাস্তা। রাস্তার দুইদিকে নানান দোকান। রাস্তায় বসে গান গাইতে দেখা যায় স্থানীয় মানুষদের।
বাতাসিয়া লুপ
দার্জিলিং থেকে সামান্য দূড়ে বাতাসিয়া গ্রাম। সেখানেই রয়েছে বিশাল এক লুপ। যার ভিতর দিয়ে যায় টয়ট্রেন। বাতাসিয়া লুপে আছে সেনা বাহিনীর স্তম্ভ। লুপের ভিতর মেলা বসে। রয়েছে বিশাল বাগান। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতেও দারুণ লাগে।
টাইগার হিলের রাস্তা
দার্জিলিং থেকে ভোরবেলা বেরিয়ে পড়া যেতে পারে টাইগার হিল। এলাকার সব চেয়ে উঁচু পাহাড়। জঙ্গলের রাস্তা গা ছমছমে।
পিকের আগে মন্দির
টাইগার হিল পিকে ওঠার ঠিক আগে গাড়ির স্ট্যান্ডের কাছে রয়েছে মন্দির আর কুণ্ড। স্থানীয় মানুষ এই জায়গাটিকে পবিত্র বলে মনে করেন।
টাইগার হিলে সূর্যোদয়
টাইগার হিলের সূর্যোদয় অপূর্ব। ভোরের প্রথম আলো কাঞ্চনজঙ্ঘার গায়ে আলতা লেপে দেয়। অন্য দিকে দেখা যায় মাউন্ট এভারেস্ট। একসঙ্গে অনেকে বসে সুর্যোদয় দেখার জন্য রয়েছে গ্যালারি।
দার্জিলিং গুম্ফা
দার্জিলিং চা খেয়ে যাওয়া যেতে পারে শহরের ঐতিহাসিক বৌদ্ধ গুম্ফায়। মনাস্ট্রির গায়ে রয়েছে প্রাচীন থাঙ্কা পেইন্টিং। বৌদ্ধ ছবির অন্যতম নিদর্শন।