পুঁচকে দেশ লিস্টেনস্টাইন
পর্বতে ঘেরা পুঁচকে দেশ লিস্টেনস্টাইন৷ লিস্টেনস্টাইন কেনো ঘুরতে যাবেন জানুন ছবিঘরে৷
ছোট, কিন্তু সুস্থির
লিস্টেনস্টাইন বিশ্বের ষষ্ঠ ছোট দেশ৷ আয়তন মাত্র ১৬০ বর্গ কিলোমিটার৷ অর্থাৎ, আকারে ঢাকা শহরের অর্ধেকের কিছু বেশি৷ অধিবাসী ৩৮ হাজার৷
বিমানবন্দর নেই
তাদের নিজস্ব কোনো বিমানবন্দর নেই৷ সড়কপথে যেতে হবে সেখানে৷ অথচ পর্বতঘেরা এই জনপদ সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার মতো বড় প্রতিবেশীদের মাঝেও সুস্থিরভাবেই টিকে আছে গত ৩শ’ বছর ধরে৷
ফাদুস
ফাদুস হলো লিস্টেনস্টাইনের রাজধানী, যেখানে দর্শনার্থীরা কেনাকাটা, ঘোরাঘুরি আর শিল্পের আস্বাদন করতে পারেন৷ সরকারী অফিসগুলো থেকে টাউন হল পর্যন্ত শহরের একটি অংশ কেবল পথচারীদের জন্য৷ সেখানে আছে বড় বড় মিউজিয়াম৷ সেখানে মিলবে ইতিহাস থেকে শুরু করে আধুনিক শিল্পের সমাহার৷
লিস্টেনস্টাইনের ল্যান্ডমার্ক
রাজধানী থেকে ১২০ মিটার পাহাড়ের ওপরে ফাদুস দুর্গ দূর থেকে চোখে পড়ে৷ যুগ যুগ ধরে এখানেই থেকেছেন রাজপুত্রের পরিবার৷ তাই ভেতরে গিয়ে দেখার উপায় নেই৷ তবে ফাদুসে ঘুরলেই দুর্গের ইতিহাস সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে৷
রাজকীয় আতিথেয়তা
দেশটিতে আছে অনেকগুলো স্কি রিসোর্ট৷ তবে পারিবারিক পরিবেশে তুষারপাত ও নৈসর্গিক প্রকৃতি উপভোগ করতে যেতে হবে মালবুন নামের গ্রামটিতে৷ সেখানে স্কি করার জন্য ২৩ কিলোমিটার ঢাল আছে৷ আর কিছুটা বিলাসী হতে চাইলে সে ব্যবস্থাও আছে৷ পয়সা খরচ করলে রাজকীয় আতিথেয়তাও মিলবে৷
হেঁটে হেঁটেও ঘুরতে পারেন
হাইকিং পছন্দ করেন যাঁরা, তাঁদের জন্য লিস্টেনস্টাইন চমৎকার জায়গা৷ শুধু সাধারণ হাইকারই নন, যাঁরা অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়, তাঁদের জন্যও রয়েছে থ্রি সিস্টার্স হাইক৷ ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ট্রেইলটি ধরে পুরো লিস্টেনস্টাইনই ঘোরা হয়ে যাবে৷
শান্তির খোঁজে
যাঁরা শান্ত পরিবেশ খোঁজেন, তাঁরা যেতে পারেন রুগেলার রিয়েট ন্যাচার রিজার্ভে৷ ৯০ হেক্টরের এই প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যময় স্থানটিতে ছোট ছোট জলাশয়, ফুলের প্রাকৃতিক বাগান ও প্রচুর গাছপালার সমাহার রয়েছে৷ বিশেষ করে গ্রীষ্মের শুরুতে চমৎকার কিছুটা সময় উপভোগ করতে পারেন সেখানে৷
লিস্টেনস্টাইনের ওয়াইন
লিস্টেনস্টাইনের পরিবেশ ও মাটি কয়েক রকমের আঙুর ফলনের জন্য আদর্শ৷ আর তাই সেখানে গড়ে উঠেছে ওয়াইন শিল্প৷ সারাদিনের হাইকিং, স্কিয়িংয়ের পর প্রিন্স অফ লিস্টেনস্টাইন ওয়াইনারিতে বসে চমৎকার এই পানীয়ের গ্লাসে এক চুমুক স্বস্তি দেবে ওয়াইনপ্রেমীদের৷