‘সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন’
১৬ নভেম্বর ২০১২বাংলাদেশে শেয়ার বাজার যাঁদের কাছে ছিল স্বপ্নসৌধ, এখন সেটাই তাঁদের কাছে স্বপ্নসমাধি৷ ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় পুঁজি বিনিয়োগ করে পথে বসেছেন, নতুন করে নামতে হয়েছে জীবন যুদ্ধে – এমন দৃষ্টান্ত অসংখ্য আছে বাংলাদেশে৷ শেয়ার বাজারের বিপর্যয়ের শিকার কেউ কেউ জীবনের মায়া ভুলে আত্মঘাতীও হয়েছেন৷ তবে বেশ কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজারে আর যা-ই হোক, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশাটা সেরকম দৃশ্যমান নয়৷ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক আব্দুর রহিম হারমাছি মনে করেন, একটু সুদিন দেখার আশায় জমি বিক্রি করে বা ঋণ করে শেয়ার কিনে শেষ পর্যন্ত একরকম নিঃস্ব হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের কেউই এখনো ফিরে আসেননি৷
তাঁর মতে, ফেরার কোনো কারণও নেই৷ পুঁজিবাজারের চাঙ্গা অবস্থায় সূচক যেখানে প্রায় ৯ হাজার পয়েন্টে গিয়ে ঠেকেছিল, এখন তা সাড়ে চার হাজারেও যায় না – সাধারণ পুঁজি বিনিয়োগকারীরা ফিরবেন কিসের আশায়? লাভের আশা করাই তো অবাস্তব৷ তাই তাঁরা সবচেয়ে কম ক্ষতিতে আগে কেনা শেয়ারগুলো বিক্রি করার অপেক্ষায় আছেন বলে মনে করেন আব্দুর রহিম হারমাছি৷
শেয়ার বাজারে ধ্বসের জন্য হাতে গোনা কয়েকজন লোক দায়ী, তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত – এমন ধারণা বাংলাদেশে প্রায় প্রতিষ্ঠিত৷ ধারণাটি যে মিথ্যে নয় তা খন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে গড়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টেও বেরিয়ে এসেছে৷ রিপোর্টে দায়ী ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করেই শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছিল৷ কিন্তু সরকার পুঁজি বাজার চাঙ্গা করার জন্য অনেক ইতিবাচক উদ্যোগ নিলেও ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করেনি বলেই সুফল পাওয়া যাচ্ছে না৷ ডয়চে ভেলেকে দেয়া আব্দুর রহিম হারমাছির সাক্ষাৎকারে এই বক্তব্যই উঠে এসেছে৷