পুঁজিবাজারে দরপতনের প্রতিবাদে ঢাকায় অনশন ও অবস্থান ধর্মঘট
৯ মে ২০১১আজ পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর আধঘন্টার মধ্যে সাধারণ সূচক ১৩৭ পয়েন্ট পড়ে যায়৷ আর আগের দিন সূচক পড়ে যায় ২০০ পয়েন্ট৷ সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন৷ সকাল ১১টা থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে অনশন এবং অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন শুরু করেন৷ তারা ঢাকার বাইরে একজন বিনিয়োগকারীর আত্মহত্যার খবরে গয়েবানা জানাজাও পড়েন৷ তাদের এই কর্মসূচির কারণে মতিঝিলের শাপলা চত্তর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷
বিনিয়োগকারীরা তাদের ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে৷ প্রধান দাবিগুলো হচ্ছে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত অনির্দষ্টকালের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখা৷ ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ, ৭২ ঘন্টার মধ্যে এসইসি পুনর্গঠন, বাজেটে পুজিঁ বাজারের জন্য আলাদা বরাদ্দ দেয়া, বিনিয়োগকারীদের ব্যাপারে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজের অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করা৷
এদিকে এসইসির সদস্য ইয়াসিন আলি আজ বিকেলে পদত্যাগ করেছেন ৷ সরকারের অনুরোধে তিনি পদত্যাগ করেন৷ একদিন আগে পদত্যাগ করেন আরেক সদস্য আনিসুজ্জামান৷ এর আগে এসইসি'র মুখপাত্র আনোয়রুল কবির ভুইয়াকে ওএসডি করা হয়৷
অন্যদিকে পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সংস্কার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে৷ তা না হলে বাজারের ওপর আস্থা ফিরে আসবেনা৷ শেয়ার বাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ৫ হাজার কোটি টাকার বাংলাদেশ ফান্ড গঠনই যথেষ্ট নয়৷ এই ফান্ডকে বাজারে আনতে হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক