পুটিন-মোদী ফোনে কথা, সহিংসতা থামানোর অনুরোধ
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের ফোনে কথা হলো। মোদীই ফোন করেছিলেন পুটিনকে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছে মোদী আবেদন করেছেন, অবিলম্বে যেন সহিংসতা বন্ধ হয়। মোদী বলেছেন, সব পক্ষ যেন আলোচনার মাধ্যমে, কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে।
কী কথা হয়েছে
প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, মোদী বলেছেন, সব পক্ষকে আলোচনার রাস্তায় আসতে হবে। রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে যে সমস্যা আছে, তা একমাত্র সত্যিকারের আলোচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমেই দূর করা যেতে পারে।
প্রেসিডেন্ট পুটিন ইউক্রেনের সর্বশেষ ঘটনাবলী সম্পর্কে মোদীকে অবহিত করেছেন।
পুটিনকে মোদী জানিয়েছেন, ইউক্রেনে প্রচুর ভারতীয় আছে। তার বেশিরভাগই ছাত্র। ভারত তাদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে চায়। তাদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, দুই দেশের কূটনীতিক ও অফিসাররা যোগাযোগ রেখে চলবেন। দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে তারা কথা বলবেন এবং সমস্যার সমাধান করবেন।
ইউক্রেনের আবেদন
বৃহস্পতিবারই ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইগর পলিখা ভারতের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, তারা যেন মধ্যস্থতা করে এই সহিংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেয়। তিনি বলেন, ''নরেন্দ্র মোদী বড় মাপের নেতা। তিনি যদি জোরের সঙ্গে সহিংসতা বন্ধের কথা বলেন, তাহলে পুটিন তা শুনবেন।''
সিসিএস বৈঠক
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটির (সিসিএস) বৈঠক বসে। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা হয়। ঠিক হয়, ভারতের প্রথম কাজ হবে, ভারতীয়দের ইউক্রেন থেকে বের করে নিরাপদে দেশে ফেরানো।
বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ভারতীয়দের উদ্ধার করার জন্য ইউক্রেন যাচ্ছিল। কিন্তু মাঝপথেই তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। জানিয়ে দেয়া হয়, সামরিক বিমান ছাড়া কোনো অসামরিক বিমানকে ইউক্রেনের বিমানবন্দর ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে না।
ভারতের অবস্থান
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে ভারত এখনো কোনো পক্ষ নেয়নি। তারা রাশিয়ার পক্ষে নেই, আবার অ্যামেরিকা ও ন্যাটোর পক্ষেও নেই। তারা নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়া এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে। অ্যামেরিকাও আগে জানিয়েছিল, এর ফলে ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খারাপ হবে না।
জিএইচ/এসজি (প্রধানমন্ত্রীর অফিসের বিবৃতি, পিটিআই)