পুটিন হেসে বাঁচেন না!
২৬ এপ্রিল ২০১৮নিন্দুকে বলছে, রুশ কৃষিমন্ত্রী সরাসরি রাশিয়া থেকে ইন্দোনেশিয়ায় – এবং অপরাপর দেশে – শূকরের মাংস রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছেন৷ কথাটা ডাহা মিথ্যে৷ মন্ত্রীমশায় – অথবা তাঁর সচিবের নোট নেওয়া-দেওয়ার সময় কি করে যেন জার্মানির ইন্দোনেশিয়ায় শূকরের মাংস রপ্তানির কথাটা ঢুকে পড়ে৷ আহা, অমনটা তো হতেই পারে; মানুষের কি আর ভুল হয় না? বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম অধিবাসী সম্বলিত দেশে শূকরের মাংস রপ্তানির কথাটা যদি মন্ত্রী-সান্ত্রী-সচিব-নাকিব কারো মাথায় এসে থাকে, তাহলে বলতে হবে সেদেশের কৃষিমন্ত্রী নয়, শিক্ষামন্ত্রীর সর লাও৷
কাচোভের বেশ ‘ফোলো' এসে গিয়েছিল৷ ‘‘এই দেখুন জার্মানরা তাদের শূকরের মাংসের উৎপাদনের অর্ধেকটাই রপ্তানি করে থাকে৷ জার্মানিতে বছরে ৫৫ লাখ টন শূকরের মাংস উৎপাদন হয়, তার মধ্যে প্রায় ৩০ লাখ রপ্তানি হয় নানা দেশে: চীনে, ইন্দোনেশিয়ায়, জাপানে, কোরিয়ায়, অন্যান্য দেশে৷ কাজেই আর যাই হোক, আমাদের শূকরের মাংসে থামলে চলবে না৷ আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে৷ আপনারা জানেন, দূরপ্রাচ্যে আন্তরিকভাবে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে...৷''
ঠিক তখনই সেই একই টেবিলে বসা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন বলে বসলেন: ‘‘ওরা শূকরের মাংস খায় না...৷''
কাচোভ তখনও বলছেন: ‘‘ওরা খাবে...'', অর্থাৎ আজ যদি না খায়, তো কাল খাবে৷ তার এক সেকেন্ডের মধ্যে নিজের বেচালটা বুঝতে পেরে বলছেন: ‘‘আমি আসলে দক্ষিণ কোরিয়ার কথা বলছিলাম৷ উৎপাদন বৃদ্ধি যার ফলশ্রুতি, সেটা হলো...''
পুটিন তখন হেসেই যাচ্ছেন, দু'হাতে মুখ ঢেকে হাসছেন৷ করবেনই বা কি৷ দেশের কৃষিমন্ত্রী যদি ইন্দোনেশিয়ার মতো মুসলিম-প্রধান দেশে শূকরের মাংস রপ্তানির কথা ভাবতে অথবা বলতে পারেন, তাহলে সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের মাত্র দু'টি পন্থা বাকি থাকে: হয় হাসা, নয়ত কাঁদা৷
তাহলে পুটিন হেসে কি দোষ করেছেন, বলুন?
এসি/ডিজি