1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুটিনের কাছে ‘হীরক রাজা’ও ফেল

২৫ জুন ২০২০

সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্রের শেষে হীরক রাজার মূর্তি ভেঙে ফেলার দৃশ্য রয়েছে৷ কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের ভাগ্যে যেন তেমনটা না ঘটে, সেই ব্যবস্থা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3eIxe
ছবি: AFP/Spunik/A. Druzhinin

মাঝে বছর চারেক বাদ দিলে ২০০০ সাল থেকে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন পুটিন৷ বর্তমান আইন অনুযায়ী, ২০২৪ সালেই তাঁর প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব শেষ হওয়ার কথা৷ এরপর আর চাইলেও প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না তিনি৷

কিন্তু পুটিন চিন্তা করে দেখলেন ২০২৪ সালে তার বয়স হবে ৭২৷ এখন তার যে স্বাস্থ্য, তাতে ঐ সময়ও তার যথেষ্ট প্রাণশক্তি থাকার কথা৷ ফলে তখন অবসরে না গিয়ে আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকতে সংবিধানে পরিবর্তন আনার বু্দ্ধি এঁটেছেন তিনি৷

এই পরিবর্তনের কারণে ছয় বছর করে আরও দুই মেয়াদ প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন তিনি৷ অর্থাৎ ৮৪ বছর বয়স পর্যন্ত৷

সংবিধানে এই পরিবর্তন আনতেই বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহব্যাপী ভোটের আয়োজন করা হয়েছে রাশিয়ায়৷ভোটাররা যদি পুটিনের এমন পরিবর্তন প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন তাহলে সেটাই হবে ‘বিশাল অবাক করা’ ব্যাপার৷ ফলে ধরে নেয়া যায় সংবিধানে পরিবর্তন আসছেই৷

সংবিধানে সম্ভাব্য পরিবর্তনের কারণে পুটিনের পক্ষে যে শুধু আরও বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা যাবে তাই নয়, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাও বাড়বে৷ চলুন দেখে নিই তিনি কী কী করতে পারবেন:

· তিনি প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারবেন৷ এখন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ পেতে সংসদের সমর্থন প্রয়োজন হয়৷ তবে প্রস্তাবিত সংশোধন বলছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রেসিডেন্ট যে নাম প্রস্তাব করবেন, তা সংসদের নিম্নকক্ষ ডুমা টানা তিনবার বাতিল করে দিলেও প্রেসিডেন্ট তার পছন্দের প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিতে পারবেন৷ এরজন্য প্রেসিডেন্টকে নতুন করে সংসদ নির্বাচন আয়োজনেরও ডাক দিতে হবে না৷
· মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত না করেই প্রধানমন্ত্রী পদে পরিবর্তন আনতে পারবেন৷
· সাংবিধানিক ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের হটিয়ে দেয়ার ক্ষমতাও পাবেন প্রেসিডেন্ট৷ অবশ্য এর জন্য সংসদের উচ্চকক্ষ ‘ফেডারেল কাউন্সিল’-এর অনুমোদন লাগবে৷ তবে এটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র, কারণ ফেডারেল কাউন্সিলের সদস্য নিয়োগের ক্ষমতাও আছে প্রেসিডেন্টের৷ এর মধ্যে সাত সদস্য আবার আজীবন নিয়োগ পেয়ে থাকেন৷

এবার ফিরে আসি শুরুর কথায়৷ বলছিলাম হীরক রাজাও পুটিনের কাছে ফেল করবে৷ কারণ পুটিন এমন ব্যবস্থা করছেন যার ফলে দায়িত্ব থেকে চলে যাওয়ার পরও তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না৷

সেটা কীভাবে? প্রেসিডেন্ট থাকার কারণে পুটিন দায়িত্ব শেষে ফেডারেল কাউন্সিলের আজীবন সদস্য হতে পারবেন৷ আর সেটা হলেই তিনি ‘ইমিউনিটি’ পেয়ে যাবেন৷ অর্থাৎ তাকে আর ধরা যাবে না৷

জেডএইচ/কেএম

২০১৮ সালের মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...