‘পুটিনের জি-৭ সম্মেলনে ফেরার রাস্তা বন্ধ'
৫ জুন ২০১৫ক্রাইমিয়াকে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়ার পর রাশিয়াকে জি-৭ থেকে বহিষ্কার করা হয়৷ রবিবার জার্মানিতে শুরু হচ্ছে এবারের শীর্ষ সম্মেলন৷ তার আগে আসন্ন সম্মেলনে গুরুত্ব পেতে পারে এমন কিছু বিষয় নিয়েই কথা বলছেন সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা৷ বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ক্যানাডার প্রদানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পার বলেছেন, ‘‘ভ্লাদিমির পুটিন থাকতে রাশিয়া আর জি-৭-এ ফেরার যোগ্যতা রাখে বলে আমি মনে করিনা৷ পুটিন ওখানে (জি-৭) এসে বসতে চাইলে ক্যানাডা কঠোরভাবে বিরোধিতা করবে৷''
এবারের জি-৭ শীর্ষ সম্মেলন হবে বাভারিয়ান আল্পসের শ্লস এলমাউ-তে৷ সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি আসার আগে ইউক্রেনে যাচ্ছেন স্টিফেন হার্পার৷ কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো এবং প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াৎসেনিয়ুকের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি৷ গুরুত্বপূর্ণ এ সফরের আগে হার্পার রাশিয়া সম্পর্কে আরো বলেন, ‘‘এ দেশটি প্রতিবেশী দেশগুলোকে দখল করে নিতে চায় – এমন ইচ্ছের প্রকাশ ঘটিয়েছে৷ তাই আমি মনে করি বিষয়টিকে হালকাভাবে না নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত৷''
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল মনে করেন, জি-৭-এ রাশিয়ার ফেরার সম্ভাবনা আপাতত একেবারেই বাস্তবসম্মত নয়৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএকে তিনি বলেছেন, ‘‘এ মুহূর্তে রাশিয়ার অংশগ্রহণের সম্ভাবনা নেই৷ জি-৭ এমন এক জোট যেখানে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেয়া হয়৷ ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইনও লঙ্ঘন করেছে৷'' তবে পাশাপাশি রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন তিনি৷ এ প্রসঙ্গে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমরা অবশ্যই রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে চাই৷ ভবিষ্যতে কখনো হয়ত করবোও৷ আসলে সিরিয়া সংকটের মতো কিছু ইস্যু তো রাশিয়াকে ছাড়া সমাধান করা সম্ভব নয়৷ তাই আমি নিয়মিত ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি৷''
এসিবি/ডিজি (এপি, ডিপিএ)