পৃথিবী ও প্রকৃতি সম্পর্কে খুব মজার কিছু তথ্য

অ্যান্টার্কটিকায়৷ অ্যান্টার্কটিকার পাহাড় অঞ্চলে শীতের সময় তাপমাত্রা হিমাংকের নীচে ৯২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামে৷ এত শীত আর কোথাও নেই৷

১৯৯৩ সালের ১০ জুলাই থেকে রেকর্ডটা যুক্তরাষ্ট্রের ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কের দখলে৷ সে বছর যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এই জায়গাটিতে সর্বোচ তাপমাত্রা ছিল ৫৬ দশমিক ৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ ঝলমলে সূর্য দেখতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদেরও প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়েছিল সেদিন৷

নেপালের হিমালয় পর্বতমালার মাউন্ট এভারেস্ট যে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ এটা প্রায় সবাই-ই জানেন৷ ২৯ হাজার ২৯ ফুট বা ৮ হাজার ৮শ ৪৮ মিটার উঁচু এভারেস্টও গত ২৫শে এপ্রিলের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল৷ অন্তত ১৮ জন পর্বতারোহী মারা যায় সেদিন৷

প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরের ‘চ্যালেঞ্জার ডিপ’-এ সাবমেরিন ছাড়া যাওয়া যায়না৷ হলিউডের পরিচালক জেমস ক্যামেরন তাই সাবমেরিন ভাড়া করেই গিয়েছিলেন সেখানে৷ সাগর গভীরের ওই জায়গায় ১১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে রয়েছে একটা পাহাড়৷ পাহাড়ের তলদেশই বিশ্বের সবচেয়ে নীচু স্থান৷

চিলির আটাকামা মরু অঞ্চলটা ভীষণ অদ্ভুত৷ অনেক আবহাওয়াবিদের মতে, ওই জায়গাটি সবচেয়ে সেরা মরুভূমি৷ আটাকামায় এমন জায়গাও আছে যেখানে কোনোদিন এক ফোঁটা বৃষ্টিও পড়েনি৷ ওই ভূখণ্ডে মানুষের পদচারণা শুরুর পর থেকে তো নয়ই৷

সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় ভারতের মেঘালয় রাজ্যে৷ সেখানকার মাওসিনরাম গ্রামকে বিশ্বের সবচেয়ে আর্দ্র স্থান বলে বিবেচনা করা হয়৷ গড়ে প্রতিবছর সেখানকার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ১১.৮৬ মিটার বা ৩৯ ফুট৷ যেখানে লন্ডনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাত্র ৬৫ সেন্টিমিটার৷

কোন শহরে সবচেয়ে বেশি মানুষ বাস করে, অর্থাৎ বিশ্বের কোন শহরটি সবচেয়ে জনবহুল? উত্তর- চীনের সাংহাই৷ ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের বাস সেখানে৷