পেছনে থেকে লড়ছেন যাঁরা
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রয়েছে প্রায় ৫৫ হাজার কর্মী৷ তাঁদের অধিকাংশের অবস্থান ব্রাসেলসে৷ এঁদের মধ্যে খুব কম সংখ্যক কর্মকর্তাকে মানুষ চেনে৷ যাঁরা অপরিচিত, তাঁদের কয়েকজনকে দেখি চলুন৷
‘আমরা ইউরোপীয়’
বেলজিয়ামের মেয়ে শেরিন আর জার্মানির সোলেন ইউরোপীয় কমিশনে কাজ করলেও ঠিক কী করেন তা জানাতে অপারগ৷ দুপুরে খাবারের বিরতি থেকে ফেরার পথে এই ছবির জন্য পোজ দেন তাঁরা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-তে অনেক স্মার্ট মানুষ কাজ করে, এটুকুই জানিয়েছেন তাঁরা৷
‘ইইউ-তে কাজ করার ইচ্ছা বহুদিনের’
পিয়েরো ইটালি থেকে এসেছেন, তবে আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে লেখাপড়া করেছেন প্যারিসে৷ দশ মাস আগে ইউরোপীয় কমিশনে যোগ দিয়েছেন তিনি৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, ‘‘ইইউ-তে কাজ করার ইচ্ছা আমার বহুদিনের৷ তবে এখন একটা মন্দ সময় চলছে৷ গ্রিস সংকটকে ঘিরে গত কয়েকমাসে ইইউ-র মধ্যকার দীর্ঘদিনের ‘ইন্টিগ্রেশন’-এর ক্ষতি হয়েছে’’, বলেন তিনি৷
ছবি তুলতে মানা
স্পেন থেকে আসা লাওরা ইউরোপীয় কমিশনের অফিসের সামনে রোদে দাঁড়িয়ে কফিতে চুমুক দিচ্ছিলেন৷ ছবি তুলতে চাইলে তিনি জানান, তাঁর অফিস চায় না যে, তাঁর এমন কোনো ছবি তোলা হোক যেখানে তাঁকে চেনা যায়৷ ‘ইউরোপিয়ান স্টাডিস’ নিয়ে পড়াশোনা শেষে এখানে চাকুরি নিয়েছেন তিনি৷
হতে চান অনুবাদক
২৯ বছর বয়সি ডেভিডের বাড়ি বেলজিয়ামে৷ তিনি ইউরোপীয় কাউন্সিলে অনুবাদক হিসেবে কাজ করতে চান৷ তবে এখন করছেন অন্য কাজ৷ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ফটোকপি করে সেগুলো অফিসের মধ্যে বিভিন্ন ডেস্কে পৌঁছানো তাঁর কাজ৷ অনেকটা অভ্যন্তরীণ ‘মেইলম্যান’ তিনি৷
মাল্টার জন্য কাজ করেন তাঁরা
ছবির বামে পাবলো আর ডানে হ্যারি৷ দুপুরের খাবার খেতে অফিস থেকে বেরিয়েছেন তাঁরা৷ দু’জনই কাজ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে মাল্টার স্থায়ী প্রতিনিধির জন্য৷ আগামী বছরের শুরুতে কাউন্সিলের ‘প্রেসিডেন্সি’ যেতে পারে মাল্টার কাঁধে৷ সেজন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা৷
‘পরিষ্কার যোগাযোগ তৈরি এক চ্যালেঞ্জ’
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসে কর্মরতদের ছবি তোলার প্রতি অনীহা আরো বেশি৷ তবে ৫৬ বছর বয়সি রবার্ট রাজি হলেন৷ তিনি কোনো কূটনৈতিক নন, তথ্য প্রযুক্তিবিদ৷ জানালেন, মানুষের সঙ্গে পরিষ্কার যোগাযোগের উপায় তৈরি এক বড় চ্যালেঞ্জ তাঁর জন্য৷
হ্যাশট্যাগ #হিউম্যানসঅফদ্যইইউ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৫৫ হাজার সিভিল সার্ভেন্ট এবং কয়েকহাজার অস্থায়ী কর্মীর মধ্য থেকে মাত্র কয়েকজনের ছবি এখানে প্রকাশ করা হয়েছে৷ বাকিরা চাইলে নিজেরাই নিজেদের কথা জানাতে পারেন #হিউম্যানসঅফদ্যইইউ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে৷