ভারত জুড়ে প্রতিবাদ
২৫ মে ২০১২পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আমজনতা এবং বিরোধী দলগুলি যেভাবে রাস্তায় নেমেছে, তাতে বর্ধিত দাম আংশিক প্রত্যাহার ছাড়া সরকারের সামনে অন্য কোন বিকল্প নেই৷ তেলমন্ত্রী জয়পাল রেড্ডি বিদেশ সফর কাটছাঁট করে তড়িঘড়ি দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন৷ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীও তেলমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছেন এটা জানতে যে, তেলের দাম বাড়ানো কতটা এবং কেন জরুরি ছিল৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ বসছে কংগ্রেসের কোর কমিটির বৈঠক৷
ভারতীয় টাকার লাগাতার অবমূল্যায়নের ধাক্কায় রাজকোষের বেহাল দশা৷ অশোধিত তেল আমদানির খরচ এক লাফে যথেষ্ট বেড়ে গেছে৷ সেটা সামাল দিতে সরকার পেট্রোলের দাম নিয়ন্ত্রণমুক্ত করায় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে নজীরহীনভাবে – লিটার প্রতি সাড়ে সাত টাকা৷ এরপর ডিজেল, রান্নার গ্যাস ও কেরোসিন তেলের দামও বাড়তে পারে, এমনটাই শোনা যাচ্ছে৷
বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ৩১শে মে দেশব্যাপী হরতালের ডাক দিয়েছে৷ বিজেপির মতে, পেট্রোলের দাম বাড়ানো জুলুমবাজি, অভাবনীয়৷ তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে জনতাকে ইউপিএ সরকারের তোফা৷ বাম নেতারা বলেন, সরকার ও তেল কোম্পানিগুলির জনবিরোধী পদক্ষেপের প্রতিবাদে রাস্তায় নামছি৷ বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে৷ শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস গতকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ মিছিল করছে৷ দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়তে ৩০শে মে প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ডিএমকে৷ বিরোধীদের বক্তব্য, সরকারের ভুল অর্থনীতির দায় আমজনতার ওপর কেন চাপানো হবে?
সরকারের বক্তব্য, টাকার লাগাতার অবমূল্যায়নের দরুন অশোধিত তেলের আমদানি ব্যয় যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে সরকারের পক্ষে আর ভর্তুকি দেয়া সম্ভব নয়৷ শরিক দলের মন্ত্রী অজিত সিং মনে করেন, সাধারণ মানুষের সমস্যা নিশ্চয় বাড়বে, সেবিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবো৷ তবে টাকার দাম পড়ে যাওয়া এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক কারণে পেট্রোলের দাম বাড়াতে হয়েছে৷
কংগ্রেসের প্রতি জনরোষ প্রশমিত করতে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে পেট্রোলের ওপর শুল্ক কম করা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন