পেশোয়ারে প্রেসক্লাবে আত্মঘাতী হামলা, ৩ জন নিহত
২২ ডিসেম্বর ২০০৯পেশোয়ারের প্রেসক্লাবটি নগরীর একটি ব্যস্ততম এলাকায় অবস্থিত৷ অত্যন্ত পরিচিত এই প্রেসক্লাবে প্রায় সারাক্ষণই থাকে সাংবাদিকদের আনাগোনা৷ মঙ্গলবারের ওই বোমা বিস্ফোরণের আগে সেখানে ভিড় ছিল অন্যান্যদিনের চেয়ে বেশি৷ কেননা স্থানীয় সংবাদিকদের অনেকেই এসেছিলেন এক প্রাদেশিক মন্ত্রীর সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকতে৷
তবে, প্রধান ফটকের কাছেই হামলাকারীকে আটকানোর চেষ্টা করায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম৷ এরপরও এই হামলায় নিহত হয়েছেন ৩ জন, আহত ১৭ জন৷
পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান লিয়াকত আলি খান জানান, ফটকের কাছে পাহারায় থাকা পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে হামলাকারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায়৷ এতে পাহারায় থাকা ওই পুলিশ এবং প্রেসক্লাবের হিসাবরক্ষক নিহত হন৷
স্থানীয় টেলিভিশনের ছবিতে দেখানো হয়েছে, বিস্ফোরণে ফটকের চেকপোস্ট এবং ফটকের কাছেই থাকা হিসাবরক্ষকের অফিস বিধ্বস্ত হয়ে গেছে৷ সেসময় অফিসে থাকা হিসাবরক্ষক ঘটনাস্থলেই নিহত হন৷
সরকারি লেডি রিডিং হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে তিনটি মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ পুলিশ ও ক্লাবের হিসাবরক্ষক ছাড়া নিহত আরেকজন হল পথচারী এক নারী৷ চিকিৎসকরা জানান, সম্ভবত বিস্ফোরণের প্রচণ্ডতায় হৃৎপিণ্ডের স্ট্রোকে মারা গেছেন তিনি৷
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷
স্থানীয় দুনিয়া নিউজ টেলিভিশনকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, হামলাকারী অপেক্ষাকৃত কমবয়স্ক এবং তাঁর গায়ে একটি শাল জড়ানো ছিল৷
এখনও কোনো গ্রুপ ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার না করলেও তালেবানই এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে৷
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তালেবানবিরোধী সেনাঅভিযান জোরদারের প্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে পেশোওয়ার বারবার জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছে৷ অক্টোবর মাসের শেষদিকে পেশোয়ারে একটি ব্যাস্ত বাজার এলাকায় চালানো হামলায় কমপক্ষে ১১৯ জন নিহত হয়েছিল৷ সেটি ছিল গত দুই বছরের মধ্যে পাকিস্তানে এ ধরণের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা৷
প্রতিবেদক: মুনীর উদ্দিন আহমেদ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক