পোশাক শিল্প
৬ সেপ্টেম্বর ২০১২বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক বিক্রয় সংস্থা হলো এইচ-অ্যান্ড-এম৷ সারা বিশ্বে তাদের শত শত বিপণী আছে৷ অপরদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে, বিশেষ করে রপ্তানির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক শিল্পের গুরুত্ব কাউকে বুঝিয়ে দিতে হয় না৷ গতবছর ১৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, তার মোট রপ্তানির প্রায় ৮০ ভাগ৷ দেশের শিল্পশ্রমিকদের ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি মানুষ কাজ করে এই খাতে৷
অথচ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের পারিশ্রমিক কিন্তু মাসে ৩৭ ডলারের আশেপাশে, পেরসন একটি পোশাক তৈরির কারখানা পরিদর্শন করতে গিয়ে যেমন দেখেছেন৷ পোশাক শিল্পে অশান্তি, বিক্ষোভ এবং ধর্মঘটের একটি উৎস হল এই নিম্ন বেতন ও পারিশ্রমিকের প্রশ্ন৷ অন্যদিকে, পোশাক শিল্পের লাভালাভ নির্ভর করে এই নিম্ন বেতনের উপরে৷ সরকার স্বয়ং কারখানা মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে পরামর্শের পর ন্যূনতম পারিশ্রমিক স্থির করে দেন বটে, কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্তের পেছনে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ নিয়ে চিন্তা কিছুটা কাজ করে বৈকি৷
পেরসন কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমরা চাই যে শ্রমিকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হোক৷ একটি দায়িত্বশীল কোম্পানি হিসেবে আমরা দেখছি যে, পোশাক শিল্পে নিম্ন বেতনের প্রশ্নটি আমাদের নাড়া দেয় এবং এটি একটি বড় উদ্বেগ৷ আমাদের দাবি যে, বাংলাদেশ সরকার ন্যূনতম পারিশ্রমিক বাড়ান এবং প্রতিবছর তা পুনর্বিবেচনা করে দেখার কথা ভাবেন৷'' পেরসন ইতিপূর্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন৷
এইচ-অ্যান্ড-এম গতবছর বাংলাদেশ থেকে ১৫০ কোটি ডলার মূল্যের পোশাক কিনেছে৷ সে হিসেবে এইচ-অ্যান্ড-এম বাংলাদেশি পণ্যের ইউরোপীয় ক্রেতাদের মধ্যে প্রথম স্থানে৷ তাঁর সংস্থা উচ্চতর মজুরিকে পণ্যক্রয়ের পূর্বশর্ত করবে কিনা, এ'প্রশ্নের জবাবে পেরসন বলেন, এইচ-অ্যান্ড-এম তার সরবরাহকারীদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক চায়, অপরদিকে শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য মজুরি কামনা করে৷
এসি / জেডএইচ (এএফপি)