প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা
১৪ নভেম্বর ২০১৫
একই রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে প্যারিসে। এলোপাথাড়ি গুলি আর একের পর এক বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে দুই শতাধিক মানুষ। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের বাইরে প্রথম বিস্ফোরণ ঘটে। সে সময় সেখানে প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ-ও উপস্থিত ছিলেন।
এরপর একের পর এক হামলা শুরু হয় প্যারিসের বিভিন্ন প্রান্তে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছে বাটাক্লঁ কনসার্ট হলে। জিহাদি স্লোগান তুলে হলে ঘুকে জঙ্গিরা গোলাগুলি শুরু করে, পণবন্দি করে নেয় দর্শকদের। গুলি করতে শুরু করে এক-একজন করে।
পুলিশ জানায়, এরপর আলাদা আলাদা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে সন্ত্রাসীরা। হামলা হয় পানশালা, কম্বোডিয়ান রেস্তোরাঁ এবং শপিং সেন্টার মিলিয়ে প্রায় ছয়টি জায়গায়।
এর কিছুক্ষণ পরেই দেশের সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেয় ফ্রান্স, সেনা অভিযান শুরু হয়।
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। "আমরা ফ্রান্সের পাশেই আছি। কাঁদছি তোমাদের সঙ্গে", বলেছেন তিনি।
এছাড়া ইউরোপে সন্ত্রাসীদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে জার্মানি যথাসাধ্য করবে বলেও জানিয়েছেন ম্যার্কেল। ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ এই ভয়াবহ হামলার জন্য জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-কে দায়ী করেছেন।
এসবি/ডিজি (এএফপি, এপি, রয়টার্স)