প্রতিটি বাড়িতেই ‘ফার্স্ট এইড বক্স’ থাকা উচিত
হঠাৎ করে কাশি, জ্বর, পেট ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, বমি, অ্যালার্জি ইত্যাদি হলে ডাক্তার দেখার আগে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যেসব ওষুধ বাড়িতে থাকা প্রয়োজন, তারই একটি জরুরি লিস্ট পাবেন এই ছবিঘরে৷
বাড়িতে ওষুধের আলমারি
জার্মানির প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধের ছোটখাটো একটা আলমারি৷ এ দেশে রোগীকেই সাধারণত ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, ডাক্তার রোগীর বাড়িতে যান না৷ তাছাড়া সপ্তাহান্তে, অর্থাৎ শনি ও রবিবার হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগ ছাড়া সবই বন্ধ থাকে৷ কাজেই শরীরে ছোটখাটো সমস্যা হলে বাড়িতেই যেন প্রাথমিক ব্যবস্থা নেয়া যায়, তাই সবার ঘরেই একটা ‘ফার্স্ট এইড বক্স’ বা এক আলমারি ভর্তি প্রয়োজনীয় ওষুধ-পত্র থাকে৷
হ্যান্ড স্যানিটাইজার
কেটে বা পুড়ে গেলে বা ক্ষতস্থানে হাত দেবার আগে অবশ্যই হাত এবং ক্ষতস্থান ‘স্যানিটাইজার’ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে৷ তাই কোনো সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বাড়িতে একটা ভালো হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকা প্রয়োজন৷ এছাড়া ব্যান্ডেজ, কাঁচি, জ্বর মাপার থার্মোমিটার, প্রয়োজনীয় মলম ইত্যাদি তো রাখতেই হবে!
জরুরি বা ইমারজেন্সি বক্স
জার্মানিতে প্রতিটি গাড়িতেই একটি করে ‘ফার্স্ট এইড বক্স’ থাকে বা রাখার নিয়ম৷ তাই সে ধরণের একটি বক্স বাড়ির জন্যও রাখা প্রয়োজন৷ এরকম একটি বক্স যে কোনো ফার্মেসি থেকে সাজিয়ে নেয়া যেতে পারে৷ পরামর্শ নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের একটি ফার্মেসির প্রধান রাইনার নামোকেলের৷
চেক করা উচিত
ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে কিনা কিংবা বাড়িতে প্রয়োজনীয় সব ওষুধ আছে কিনা – তা বছরে অন্তত একবার দেখে নেয়া উচিত৷ শুধু তাই নয়, কবে শেষ চেক করা হয়েছে, তা লিখে আলমারিতে লাগিয়ে রাখবেন৷ এতে পরে মনে করতে অসুবিধা হবে না৷ এছাড়া বাড়িতে আর কী কী ওষুধ প্রয়োজন – সে ব্যাপারে ফার্মেসি কর্মী বা ডাক্তারের সাহায্য নিতে পারেন৷
ওষুধ খোলার পরে মেয়াদকাল
প্রতিটি ওষুধের গায়েই লেখা থাকে ওষুধের মেয়াদকাল৷ জার্মানিতে সাধারণত দুটি মেয়াদকাল লেখা থাকে – ওষুধের প্যাকেট বা শিশি খোলার পরে এবং খোলার আগে৷ তাই খোলার পরে অবশ্যই ওষুধের বক্সে বা বোতলের গায়ে লিখে রাখবেন সেটা কবে খোলা হয়েছে৷ কারণ পুরনো ওষুধ সেবনের পরিণাম কিন্তু ভয়ংকর হতে পরে!
পুরনো ঔষুধ ডাস্টবিনে ফেলবেন না!
ওষুধের মেয়াদকাল পার হয়ে গেলে সেই ওষুধ ডাস্টবিনে না ফেলে সরাসরি ফার্মেসিতে ফেরত দিয়ে দিন৷ জার্মানিতে প্রতিটি জিনিসই আলাদাভাবে জমানো হয় এবং পরে তা ফেলা হয়৷ এই যেমন প্লাস্টিক, কাগজের মতো এখানে ওষুধ, ব্যাটারি এবং ইলেক্ট্রনিক জিনিস ফেলার জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে৷
পুরনো মলম, ক্রিম, প্লাস্টার কী করবেন?
রনো মলম, ক্রিম, প্লাস্টার কী করবেন? চোখের ড্রপ, নাকের স্প্রে ইত্যাদির চার-পাঁচ সপ্তাহের বেশি মেয়াদ থাকে না৷ কাজেই সময় পার হয়ে গেলে অবশ্যই এগুলি ফেলে দেবেন৷ এছাড়া অনেকদিন আগের কেনা প্লাস্টার ক্ষতস্থানে লাগালেও কিন্তু তা থেকেও ইনফেকশন হতে পারে৷ তাই পুরনো জিনিস বেশিদিন রাখবেন না৷
শিশুদের ওষুধ
শিশুদের জন্য অবশ্যই কিছু আলাদা ওষুধ-পত্র ঘরে রাখতে হবে৷ তবে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই তা রাখা উচিত৷ বাড়িতে খেলোয়াড় থাকলে, তার জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে৷ এমনই পরামর্শ ফার্মেসি কর্মী রাইনার নামোকেলের৷