সংগীত
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২২০০৭ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘দিস ইজ দ্য লাইফ'- এর মধ্য দিয়ে বিশ্ব পপ সংগীতের অঙ্গনে, গীতিকার, সুরকার, গিটার বাদক ও গায়িকা এমি ম্যাকডোনাল্ড-এর সফল আত্মপ্রকাশ৷ ইংল্যান্ড সহ বিশ্বের বহু দেশে হিট গানের তালিকায় প্রথম দিকে স্থান অধিকার করে এই অ্যালবাম৷
তাঁর পরবর্তী অ্যালবাম ‘এ কিউরিয়াস থিং'এর মধ্য দিয়েও এমি পান আন্তর্জাতিক সাফল্য৷ এই অ্যালবামের বেশ ক'টি গান বিশ্ব পপ সংগীতাঙ্গনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একের পর এক কনসার্টের মধ্য দিয়ে তিনি জয় করেছেন অসংখ্য সংগীত অনুরাগীর হৃদয়৷
এমি ম্যাকডোনাল্ড'এর জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৫শে আগস্ট স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে৷ এখানে বিশপব্রিগস হাই স্কুলে পড়াশুনা করেন তিনি৷ ১২ বছর বয়সে বিখ্যাত স্কটিশ রক সংগীত গোষ্ঠী ‘ট্র্যাভিস'-এর পরিবেশনা শোনার পর থেকেই সংগীতের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন তিনি এবং বাবার গিটার নিয়ে শুরু করেন স্বশিক্ষা৷ আর সেই সাথে চলে সংগীত রচনার চর্চা৷ ১৫ বছর বয়স থেকে গ্লাসগো'র বিভিন্ন পাবে সংগীত পরিবেশনা করে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এমি৷ ১৮ বছর বয়সে তিনি চুক্তিবদ্ধ হন একটি রেকর্ড কোম্পানির সাথে এবং সেই থেকেই শুরু হয় তাঁর সফল সংগীত জীবন৷
সমাজ ও তাঁর পারিপার্শ্বিকতা নিয়েই তাঁর গীতিকবিতা৷ স্বতঃস্ফূর্ত সুরেলা কণ্ঠে, রক ও লোক সংগীতের ছোঁয়ায় এক নতুন স্বাদের পপ সংগীত উপহার দিয়েছেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগীদের৷ এ বছর জুন মাসে বের হয়েছে তাঁর তৃতীয় সফল অ্যালবাম ‘লাইফ ইন আ বিউটিফুল লাইট'৷ ২০০৯ সালে ‘শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক নবাগত সংগীত শিল্পী' হিসেবে ‘একো' সহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রতিভাবান সংগীত শিল্পী এমি ম্যাকডোনাল্ড৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন