ন'জনের একজন ক্ষুধা নিয়ে ঘুমায়
১১ জুলাই ২০১৭১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে এই দিবস পালিত হচ্ছে৷ ঐ বছরের এই দিনে ক্রোয়েশিয়ার জাগরেবে পাঁচশ' কোটিতম শিশু জন্মগ্রহণ করেছিল৷ ১৮০৪ সালে প্রথম পৃথিবীর জনসংখ্যা ১০০ কোটিতে পৌঁছায়৷ তারপর সেটি ২০০ কোটিতে যেতে সময় লাগে ১২০ বছরেরও বেশি৷ তবে পরবর্তীতে পৃথিবীর জনসংখ্যা ছয়শ’ থেকে সাতশ’ কোটিতে পৌঁছাতে সময় লেগেছে মাত্র ১২ বছর (১৯৯৯-২০১১)৷
জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হার বজায় থাকলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা ৯৮০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে৷
কিছু তথ্য
বিশ্বে পুরুষ ও নারীর অনুপাত ১০১:১০০৷ এদিকে ‘১০০ মানুষ’ প্রকল্পের এক হিসেব বলছে, বিশ্বকে যদি ১০০ জন মানুষ বাস করা একটি গ্রাম ধরা হয় তাহলে সেখানে ৬০ জন মানুষ থাকবে এশীয়, ১৬ জন আফ্রিকার, ১০ জন ইউরোপের, ৯ জন ক্যারিবীয় সহ ল্যাটিন অ্যামেরিকার আর পাঁচজন উত্তর অ্যামেরিকার৷ এছাড়া গ্রামবাসীদের মধ্যে ২৫ জন হবে শিশু, যাদের বয়স ১৪ কিংবা তার নীচে, ৬৬ জনের বয়স হবে ১৫ থেকে ৬৪-র মধ্যে আর ৯ জন থাকবেন ৬৫ বা তার বেশি বয়সি৷ এই বিশ্ব গ্রামের ৮৬ জন পড়তে ও লিখতে পারবে৷
বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি জনবহুল দেশের মধ্যে তিনটি এশিয়ার৷ এর মধ্যে চীন (১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন) ও ভারতে (১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন) এক বিলিয়নের বেশি মানুষ বাস করে৷ তারপরে আছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে চীন ও ভারতের তুলনায় সে দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ প্রায় এক বিলিয়ন কম৷ যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ৩২৪ মিলিয়ন মানুষ বাস করে৷ এরপরে আছে ইন্দোনেশিয়া (২৫৮ মিলিয়ন) ও ব্রাজিল (২০৫ মিলিয়ন)৷
যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ ফ্যাক্টবুক অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ মান্দারিন-চীনা ভাষায় কথা বলে৷ এরপর রয়েছে ইংরেজি, স্প্যানিশ, হিন্দি, আরবি, বাংলা সহ অন্যান্য ভাষা৷
ওয়াটার ডটঅর্গ এনজিও-র হিসেবে, বিশ্বের প্রায় ৬৬৩ মিলিয়ন মানুষ বিশুদ্ধ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত৷ আর বিশ্ব খাদ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১৫ সালে ৭৯৫ মিলিয়ন মানুষের পর্যাপ্ত খাবার ছিল না৷ আজ রাতে প্রতি নয়জনের একজন ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যাবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা৷
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, ২০১৪ সালে প্রায় ১.৯ বিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ বা তার বেশি বয়স) এবং পাঁচ বছর বা তার কম বয়সি প্রায় ৪১ মিলিয়ন শিশুর ওজন পরিমাণের চেয়ে বেশি ছিল৷ এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সৌদি আরব ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে ৬০ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ স্থূল স্বাস্থ্যের অধিকারী৷
কার্লা ব্লাইকার/জেডএইচ