গরুর মালিক নিজেই গরু
১৯ নভেম্বর ২০১৩সামহয়্যার ইন ব্লগে মোহাম্মদ সামছুল আলম কার্টুনটি যুক্ত করে শিরোনাম দিয়েছেন, ‘অবশেষে চড়া দামে বিক্রি হলো লেজেহোমো'৷ তিনি লিখেছেন, ছবিটি দেখে একটুও অবাক হননি তিনি৷ ‘‘আপনার গরু যদি দিন শেষে আপনিই কিনে নেন, তাতে আর কি ই বা বলার থাকতে পারে?'' আরো লিখেছেন, ঘাপলাটা বাঁধে সেখানেই যখন আপনার নিজের গরু আপনাকেই চড়া দামে কিনতে হয় তখন৷ সামছুল আলম লিখেছেন, ‘‘এই গরুটার সাথে তার বর্তমান মালিকের কখনোই ছাড়াছাড়ি হয়নি৷ তবে পার্থক্য এই যে ৮৬ তে গরু নিজেই মালিক ছিল৷ পরে ৯৬ এবং ২০০৭ এ মালিক গরু আর গরু মালিক হয়েছে৷''
এদিকে ফেসবুকে এরশাদকে নিয়ে প্রথম আলো পত্রিকার শেয়ার করা একটি প্রতিবেদনের নীচেও অনেকে মন্তব্য করেছেন৷ প্রতিবেদনটির শিরোনাম, ‘নির্বাচনে না গেলে মানুষ থুতু দেবে: এরশাদ'৷ আসলামুর রহমান লিখেছেন, ‘‘ইতিহাসে মীর জাফরের পর এরশাদের নাম লেখা থাকবে''৷ মাসবাহুল ইসলাম মেজবা লিখেছেন, ‘‘নিজের গায়ে থুথু নিতেই উনার যত উল্টাপাল্টা কাজকর্ম৷ এরকম অথর্ব রাজনীতিবিদ দেশে আর দু'একটা থাকলে অনেক আগেই গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেত৷ এরশাদ সাহেবের স্মৃতিভ্রম হয়েছে৷ পূর্বের বক্তব্য ছিল মহাজোটের সাথে নির্বাচনে গেলে মানুষ আমাকে থুথু দেবে, আর এখন বলছেন নির্বাচনে না গেলে মানুষ আমাকে থুথু দিবে৷''
মুরাদুল আলম এর মন্তব্য, ‘‘ক্ষমতার স্বাদ একবার যে পেয়েছে, তার নেশা সকল নেশার চেয়েও তীব্র৷ এই এরশাদ একসময় আটরশির মুরিদ হয়ে সকল মোসাহেবদের অনুগামী করে৷ আটরশির নেশা কেটে যাওয়ার পরে চরমোনাইর মুরিদ হয়৷ তাতেও সুফলতা না মেলায় হন্যে হয়ে এরশাদ শেষ ভরসা হেফাজতে ইসলাম এর প্রধানকে মনোবাঞ্ছা পূরণের হাতিয়ার বানাতে আপ্রাণ কসরত করে৷ এরপরেও আওয়ামী লীগের পা চাটা পদ তো আছেই!!''
তবে এরশাদের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জনি চৌধুরী৷ মোহাম্মদ খোকন লিখেছেন, ‘‘অতিকথনের ফলে এরশাদ বিতর্কিত হয়েছেন৷ তিনি যদি একটু চুপ থাকতেন তাহলে মানুষ এতো কথা বলতো না তাঁকে নিয়ে৷ তিনি সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়ে ভাল করেছেন তাঁর দলের জন্য কারণ এতগুলি মন্ত্রী তিনি কখনোই বানাতে পারতেন না৷ এটা তাঁর দলকে আরো শক্তিশালী করবে৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: জাহিদুল হক