1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিলারির পাশে ওবামা

৬ জুলাই ২০১৬

ই-মেল কেলেঙ্কারির জের ধরে নাজেহাল হিলারি ক্লিন্টন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারলেন৷ বারাক ওবামা তাঁকে সর্বকালের সেরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বর্ণনা করে জোরালো সমর্থন জানালেন৷

https://p.dw.com/p/1JJpO
এফবিআই
ছবি: picture-alliance/AP Photo/C. Kaster

একই দিনে সুসংবাদ ও দুঃসংবাদ৷ ডেমোক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে হিলারি ক্লিন্টন বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জোরালো সমর্থন পেলেন, যা অ্যামেরিকার রাজনৈতিক জগতে অত্যন্ত বিরল ঘটনা৷ অন্যদিকে তাঁর ই-মেল কেলেঙ্কারির ভূত আরও জোরালোভাবে তাঁর ঘাড়ে চেপে বসলো৷

কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সাধারণত তাঁর সম্ভাব্য উত্তরসূরী থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে চলেন৷ এটাই অলিখিত প্রথা হিসেবে অ্যামেরিকায় চলে এসেছে৷ কিন্তু বিরোধী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হবার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো চরম বিতর্কিত মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, তার প্রেক্ষাপটে ওবামা সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে নিজের দলের প্রার্থী ও প্রাক্তন সহকর্মীর পক্ষে জোরালো সওয়াল করলেন৷ স্পষ্ট ভাষায় তিনি বললেন, হিলারি ক্লিন্টনের হাতে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত৷ এমন ভূয়সী প্রশংসা বোধহয় হিলারিও আশা করেননি৷ ওবামা বলেন, এর আগে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য কখনো এত যোগ্য প্রার্থী দেখা যায়নি৷

উল্লেখ্য, প্রায় তিন সপ্তাহ পর দলীয় সম্মেলনে হিলারি ক্লিন্টন আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্র্যাটিক দলের মনোনয়ন পেতে চলেছেন৷

জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ওবামাকে পাশে পেয়ে হিলারি ক্লিন্টন অবশ্যই অভিভূত৷

কিন্তু তাঁর যোগ্যতার উপর কালো ছায়া ফেলেছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাঁর একটি আচরণ৷ রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তিনি চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়েছেন৷ সাধারণ ই-মেল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তিনি গোপন বিষয় সম্পর্কে অনেকের সঙ্গে পত্রালাপ করেছেন৷ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তাঁর এই আচরণকে ‘অত্যন্ত অসতর্ক' হিসেবে বর্ণনা করেছে৷ তবে বিস্তারিত তদন্ত চালিয়েও ইচ্ছাকৃত অসদাচরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷

অর্থাৎ ক্লিন্টন আপাতত আইনি প্রক্রিয়া থেকে রক্ষা পেয়ে গেলেন৷ যদিও তাঁর ভাবমূর্তি একটা বড় ধাক্কা খেয়ে গেল৷

বলা বাহুল্য, হিলারি ক্লিন্টনের প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি৷ তিনি বলেন, দোষী হওয়া সত্ত্বেও ক্লিন্টন পার পেয়ে গেলেন৷ ফলে গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থার দুর্বলতার পরিচয় পাওয়া গেল৷ তবে এমন অসতর্ক আচরণের কারণে ক্লিন্টন কোনো উচ্চ পদের জন্য উপযুক্ত নন – বলেন ট্রাম্প৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য