প্রধানমন্ত্রীর জনসভা: পংকজ ও শাম্মি সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত ১
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে সভাস্থলে এ ঘটনা ঘটে৷
নিহত সিরাজুল ইসলাম সিকদার (৫৫) হিজলা উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন৷ তিনি গুয়াবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগ সভাপতি৷ দুই পক্ষই নিহত সিরাজুলকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে৷
পংকজ নাথ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আওয়ামী লীগ মনোনীত শাম্মী আহম্মেদের লোকদের হামলায় আমার ৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে৷ তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম মারা গেছে৷ তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়৷ হাসপাতালে নেওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি মারা যান৷'
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার কালাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ''নিহত সিরাজুল ইসলাম সিকদারকে হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়৷ ভর্তি হওয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে৷''
তবে হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ''নিহতের শরীরের বাইরের অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি৷ হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়৷ ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না৷''
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পংকজ নাথের কর্মী খোরশেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, ''আমরা ২৩টি লঞ্চে মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় এসেছিলাম৷ আমাদের মিছিল যখন জনসভায় প্রবেশ করে, তখন আমাদের ওপর শাম্মী আহম্মেদের কর্মীরা হামলা চালায়৷ তাদের ফেস্টুনের কাঠ দিয়ে আমাদের পেটায়৷ এতে আমাদের অন্তত ৩০-৪০ জন আহত হয়৷''
এদিকে নিহত সিরাজুল ইসলামকে নিজেদের কর্মী দাবি করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের নির্বাচনী সমন্বয়ক সৈয়দ মনির ডেইলি স্টারকে বলেন, ''পংকজ নাথের অনুসারীরা জনসভায় বিশৃঙ্খলা করে৷ এ সময় তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে৷ সে সময় সিরাজুল ইসলাম পড়ে যান৷ পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়৷''
মনির আরও বলেন, ''বিশৃঙ্খলার সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করলে কয়েকজন আহত হয়েছে৷''
পুলিশ কমিশনার মো. জিহাদুল কবির প্রতিবেদককে বলেন, ''জনসভার মধ্যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে৷ একসময় সিরাজুল অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান৷ তিনি হামলা বা আঘাতে মারা গেছেন বলে চিকিৎসকরা জানাননি৷ তবুও তদন্ত অব্যাহত রেখেছি৷''
এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিলে ইসির আদেশ এখনো বহাল আছে৷ যদিও প্রার্থিতা ফিরে পেতে ইতোমধ্যে শাম্মী আপিল বিভাগে ৩টি পৃথক আবেদন করেছেন৷
এসএইচ /এডিকে (দ্য ডেইলি স্টার)