1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে কোটি টাকা?

১৪ জুলাই ২০১০

অপরদিকে একাত্তরে গণহত্যার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা গ্রেপ্তার৷ সঙ্গে রয়েছে জেএমবি প্রধানের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর৷

https://p.dw.com/p/OISw
প্রশ্নপত্র, পরীক্ষা, বাংলাদেশ, শিক্ষা, Bangladesh, Dhaka, School, Media
অন্তত এদের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় নাছবি: picture alliance / landov

গণহত্যার মামলায় কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানের গ্রেপ্তারের খবর সব পত্রিকা জুড়ে, বিনা ব্যতিক্রমে, বলা চলে৷ এই গ্রেপ্তারের পরিকল্পিত প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে কালের কণ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সূত্রে৷ জামিন নিতে আসার সময় গ্রেপ্তারের ব্যপারে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ একাধিক পত্রিকা কামারুজ্জামান স্বয়ং, অথবা কাদের মোল্লার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনের বিভিন্ন মন্তব্য উদ্ধৃত করেছে৷ উভয়েরই বক্তব্য যে, আদালত গ্রেপ্তারি বা হয়রানি না করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও এই গ্রেপ্তার আদালতের অবমাননার সমতুল৷ প্রথম আলো জানিয়েছে সামগ্রিকভাবে জামায়াতের প্রতিক্রিয়ার কথা: গ্রেপ্তারের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী৷ সমকালের বিবরণ অনুযায়ী আরো ছ'জন নেতা এমনভাবে সহসা আটক হতে পারেন, বলে আশঙ্কা করছেন জামায়াত নেতারা৷

জেএমবি প্রধান ভাগ্নে শহীদ গ্রেপ্তার

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিবরণ অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে গ্রেপ্তার করা হয় জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের সাংগঠনিক প্রধান আনোয়ার আলম খোকা ওরফে ভাগ্নে শহীদকে৷ তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়৷ কালের কণ্ঠ, সমকাল সহ অধিকাংশ পত্রিকা জানাচ্ছে যে, ভাগ্নে শহীদ পুলিশকে বলে যে, তারা দেশের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ১২ জন ব্যক্তির একটি ‘হিটলিস্ট' তৈরি করেছিল৷ দৃশ্যত এদের হত্যার উদ্দেশ্য হতো সরকারকে জেএমবি'র শক্তি জানান দেওয়া৷ পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ভাগ্নে শহীদ ভারতে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে, বলে জানিয়েছে কালের কণ্ঠ৷

‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ'

প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া থেকে ব্যাংকে ৯৫ লাখ টাকা! অবিশ্বাস্য, আবার অবিশ্বাস্য নয়৷ বিজি প্রেসের গ্রেপ্তার হওয়া এক কর্মচারীর নাম মোস্তফা কামাল৷ তার নিকটাত্মীয় ব্যবসায়ী শফিউল রহমানের দুটি ব্যাংক এ্যাকাউন্টে ঘটনার ঠিক দু'দিন আগে টাকাগুলি জমা রাখা হয়৷ এ' খবর সমকাল, জনকণ্ঠ এবং বলতে কি, প্রায় সব পত্রিকায়৷ রয়েছে এ্যাকাউন্ট দুটি জব্দ হওয়ার এবং শফিউলকে দুদিনের রিম্যান্ডে নেওয়ার খবর৷ কিন্তু কালের কণ্ঠ ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ' বেরিয়ে আসার কথা বলেছে অন্য কারণে৷ দৃশ্যত সাত বছর ধরে প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে একই চক্র, জানাচ্ছে প্রথম আলো এবং অন্যান্যরা৷ চক্রের সদস্যরা হলেন ছয়-সাতজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেই সঙ্গে ১৫-২০ জন কর্মচারী৷ পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য রয়েছে আরেকটি চক্র৷ অপরদিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ জানিয়েছেন যে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কেউ জড়িত নয়৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই