প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিজেপিতে ক্ষোভ
৮ মার্চ ২০২১প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর ক্ষোভ ছড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপিতে৷ পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপির স্থানীয় নেতারা চারটি আসনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নিজেরা প্রার্থী দেওয়ার কথা এর মধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছেন৷ যাঁরা ভোটে দাঁড়াবেন সমন্বয় মঞ্চের ব্যানারে৷
গত বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে নির্বাচনী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির নেতারা৷ আলোচনার মাধ্যমেই রাজ্যে প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হয়, যা দুই দফায় ঘোষিত হয় গত শনিবার৷ সেই তালিকা অনুযায়ী, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি কেন্দ্রে প্রার্থী রাজীব কুণ্ডু, গড়বেতায় মদন রুইদাস, খড়গপুর গ্রামীণে তপন ভুঁইয়া ও মেদিনীপুরে টাউনে জেলা সভাপতি শমিত দাস৷ বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, জেলা সভাপতি নিজের প্রার্থীপদ নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরও তিনটি কেন্দ্রে নিজের পছন্দের মানুষদের টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন৷
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা এই প্রসঙ্গে জানালেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীরপরামর্শও নাকি মেদিনীপুরে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মানা হয়নি৷ বরং কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব সাংগঠনিক স্তর ছাড়াও পেশাদার সমীক্ষক সংস্থাকে দিয়ে প্রতিটি এলাকায় দলের নেতাদের কাজকর্ম, সাধারণের মধ্যে তাদের প্রভাব, জনপ্রিয়তা যাচাই করে, এবং বিশেষ করে নেতাদের ভাবমূর্তি খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে৷ এর আগে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে একই প্রক্রিয়ায় প্রার্থী বাছাই করে সাফল্য এসেছিল৷ এবার বিধানসভা ভোটেও সেই পরীক্ষিত ও প্রমাণিত রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছেন অমিত শাহ৷ প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সম্মতি তিনিই দিচ্ছেন৷
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য যদিও মানতে চাইলেন না গেরুয়া শিবিরের এই ‘ভেতরের খবর’৷ বরং তাঁর দাবি, ‘‘শুধু উচ্চতর নেতৃত্ব কোনও এজেন্সির মাধ্যমে খবর নিয়ে প্রার্থী তালিকা ঠিক করছে, এই খবরটা ঠিক নয়৷ আমাদের ৩৬৫ দিনের পার্টি৷ সংগঠনের কথা নিঃসন্দেহে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ৷ জেলার সাংগঠনিক প্রধানরা এবং রাজ্যের যাঁরা দায়িত্বে আছেন, তাঁদের মধ্যে কথাবার্তা বলে, নামের তালিকা তৈরি করে, তার পর সংসদীয় বোর্ড এবং সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে৷ সেটা সর্বসম্মত ভাবেই হচ্ছে৷’’
আর মেদিনীপুরের প্রভাবশালী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ, প্রস্তাব অগ্রাহ্য করা নিয়ে শমীকবাবুর সাফ কথা, এটা ভুল খবর৷ যারা এটা ছড়াচ্ছেন, তারা ভুল খবর ছড়াচ্ছেন৷