প্রিন্স হ্যারি যদি আফগানিস্তানে অপহৃত হতেন!
৭ অক্টোবর ২০১০২৬ বছর বয়স্ক প্রিন্স হ্যারি ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা৷ সামরিক বাহিনীতে তিনি পরিচিত লেফট্যান্যান্ট ওয়েলস নামে৷ আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে তিনি দুই মাস কাজ করেছেন৷ এরপরে ব্রিটেনে ফিরে যান ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে৷ তবে প্রিন্স হ্যারি আবারো আফগানিস্তানে ফিরে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন৷
‘‘দ্য টেকিং অব প্রিন্স হ্যারি'' নামে ৯০ মিনিটের একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখাতে যাচ্ছে চ্যানেল ফোর৷ প্রামাণ্য চিত্রটি সম্প্রচার হবার কথা রয়েছে ২১-শে অক্টোবর৷ প্রিন্সের ভূমিকায় রয়েছেন একজন অভিনেতা৷ দেখানো হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি শত্রুদের হাতে আটক রয়েছেন এবং তাঁকে মুক্ত করতে আলোচনা চালানো হচ্ছে৷ প্রামাণ্য চিত্রে একজন জিম্মিকারী গুলিহীন একটি অস্ত্র তাক করে রয়েছে প্রিন্সের মুখের দিকে৷
ছবিটেতে একটি দৃশ্য রয়েছে, যেখানে হ্যারি ব্রিটেনে জন্মগ্রহণকারী একজন কট্টরপন্থী ইসলামী জঙ্গির মুখোমুখি হন৷ এবং ব্রিটিশ সরকার এইক্ষেত্রে আলোচনা চালাতে কী ধরণের পৃথক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাও দেখানো হয়েছে৷ অপহৃতদের ব্যাপারে মুক্তিপণের দাবি ব্রিটেন সবসময়ই প্রত্যাখ্যান করে থাকে৷ এই প্রামাণ্য চিত্রটি নির্মাণ করতে কয়েকজন সাবেক জিম্মি এবং গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সাহায্য করেছেন৷
চ্যানেল ফোরের প্রামাণ্য চিত্র বিভাগের প্রধান হামিশ মিকুরা বলেছেন, হ্যারি যদি আফগানিস্তানে ফিরে যান তাহলে তা তাঁর জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ হবে তাতে কোন ‘সন্দেহ নেই'৷ আফগানিস্তানে থাকাকালিন হ্যারির ডাক নাম ছিল ‘‘বুলেট ম্যাগনেট''৷ এই প্রামাণ্য চিত্রেও এই নাম উল্লেখ করা হয়েছে৷ হামিশ মিকুরা বলেন জিহাদি ওয়েবসাইটের এমন অসংখ্য প্রতিবেদনের কথা আমরা জানি, যেখানে লেখা হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি একনম্বর লক্ষ্যবস্তু হওয়া উচিৎ৷ তিনি বলেন, বাকিংহাম প্রাসাদকে প্রামাণ্য চিত্রটির তথা জানানো হয়েছে, তবে সেখান থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: জাহিদুল হক