প্রেমিকের দেয়া আগুনে অলিম্পিক ক্রীড়াবিদের মৃত্যু
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪কেনিয়া ও উগান্ডার গণমাধ্যম জানিয়েছে, রেবেকার শরীরের ৭৫ শতাংশেরও বেশি পুড়ে যায়৷ ২০২১ সালের অক্টোবরের পর এ নিয়ে কেনিয়ায় তিনজন ক্রীড়াবিদ নিহত হয়েছেন৷
উগান্ডার অলিম্পিক কমিটির সভাপতি ডোনাল্ড রুকারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘প্রেমিকের নৃশংস হামলায় আমরা আমাদের অলিম্পিক দৌড়বিদ রেবেকা চেপ্টেগেইর মৃত্যুর খবর পেয়েছি৷''
তিনি আরও বলেন, ‘‘রেবেকার আত্মা শান্তি পাক৷ নারীর উপর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই আমরা৷''
প্যারিস অলিম্পিক্সের ম্যারাথনে ৪৪তম স্থানে থাকা এই দৌড়বিদকে হামলার পর কেনিয়ার রিফট ভ্যালি শহর এলডোরেটের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷
মোই টিচিং অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ওয়েন মেনাচ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার পর আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তিনি মারা যান৷''
এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি৷
কেনিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী কিপচুম্বা মুরকোমেন তার মৃত্যুকে ‘সমগ্র অঞ্চলের জন্য ক্ষতি' বলে অভিহিত করেছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘এই হত্যাকাণ্ড আবারও জানিয়ে দিলো যে, আমাদের সমাজে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের অবশ্যই আরও সক্রিয় হতে হবে৷ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন ঘৃণ্য সহিংসতা আমাদের খেলার জগতেও আঘাত এনেছে৷''
উগান্ডার ক্রীড়া সংগঠন রেবেকার জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানিয়েছে৷ উগান্ডার ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী পিটার ওগওয়াং বলেছেন, ‘‘কেনিয়ার কর্তৃপক্ষ এই হত্যার তদন্ত করছে৷''
সরকারি তথ্য অনুসারে ২০২২ সাল থেকে কেনিয়ার ১৫-৪৯ বছর বয়সি প্রায় ৩৪ শতাংশ নারী শারীরিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন৷ যার মধ্যে বিবাহিত নারীরা বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছেন৷ ২০২২ সালের সমীক্ষায় দেখা যায়, ৪১ শতাংশ বিবাহিত নারী দেশটিতে সহিংসতার সম্মুখীন হয়েছেন৷
এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে, কেনিয়ার উদীয়মান তারকা দৌড়বিদ অ্যাগনেস টিরপকে ইটেন শহরে তার বাড়িতে গলায় ছুরিকাঘাতের ক্ষত সহ মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ এ ঘটনায় তার স্বামী ইব্রাহিম রোটিচের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়৷ তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন৷ মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে৷
এসএইচ/এসিবি (রয়টার্স)