1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিদক্ষিণ কোরিয়া

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চায় দক্ষিণ কোরিয়ার শাসক দল

৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার শাসক দলের প্রধান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টি সমর্থন করেছেন। প্রেসিডেন্ট মার্শাল আইন মোতায়েনের চেষ্টা করেছিলেন।

https://p.dw.com/p/4norT
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
সরে যেতে হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকেছবি: AP Photo/picture alliance

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল শুক্রবারই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। চলতি সপ্তাহেই তিনি দেশে মার্শাল আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছিলেন। শাসক দলের প্রধান প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার শাসক দল পিপলস পাওয়ার পার্টির প্রধান হ্যানডং-হুন জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট দেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধী মত পোষণকারীদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।

শাসক দলের প্রধানের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করার জন্য অধিকাংশ এমপি ভোট দেবেন। উল্লেখ্য, দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেলে তবে প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা সম্ভব। অর্থাৎ, ৩০০ জনের পার্লামেন্টে ২০০টি ভোট প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যেতে হবে।

এর মধ্যে বিরোধী জোটের ১৯২ জন এমপি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। ফলে তাদের ভোট এমনিতেই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যাবে।

প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে শাসক দলের প্রধানের এই অবস্থানে দলের একটি বড় অংশ দলীয় প্রধানকে সমর্থন করছেন। ফলে তারাও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। বস্তুত, শাসকদলের ১৮ জন এমপি বিরোধীদের ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন। ফলে কোনোভাবেই প্রেসিডেন্ট পদ টিকিয়ে রাখতে পারবেন না ইউন।

বৃহস্পতিবারও এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ছিল না। কারণ তখনো হ্যান তার অবস্থান স্পষ্ট করেননি। বস্তুত, তখন তিনি প্রেসিডেন্টের সমর্থনেই কথা বলেছিলেন। দলের সমস্ত এমপি-দের প্রেসিডেন্টের পক্ষে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার আচমকা নিজের মতামত সম্পূর্ণ বদলে ফেলেন তিনি। আর তাতেই প্রেসিডেন্টের পতন কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়।

মঙ্গলবার দেশে মার্শাল আইন চালু করার চেষ্টা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে গোটা দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিরোধীরা এর তীব্র বিরোধিতা করে। শাসক দলের প্রধান জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট তার এই পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত সমর্থন করে গেছেন। আর সেখান থেকেই দলের ভিতরে ইউনের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে।

শনিবার ইউনকে ইমপিচ করা হলে সাংবিধান আদালত ঠিক করবে প্রেসিডেন্টকে পদ থেকে সরানো হবে, নাকি তাকে একই পদে বহাল রাখা হবে। প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হলে প্রধানমন্ত্রী তার জায়গায় উত্তীর্ণ হবেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)