শৈশবেই ‘পতিতা' ফরিদা
৯ জানুয়ারি ২০১৬বাংলাদেশের মেয়ে ফরিদা৷ গ্রামের খুব সাধারণ পরিবারে জন্ম৷ বড় সংসার চালাতে গিয়ে বাবা গলদঘর্ম৷ একদিন রশিদ নামের একজন এসে ফরিদার বাবাকে বলে, ‘‘আপনার এই মেয়েকে আমাকে দিন৷ আমি ওকে নিয়ে যাবো, ও আমার বাসায় থাকবে, কাজটাজ করবে৷'' রাজি হয়ে গেলেন ফরিদার বাবা৷
নয় বছরের মেয়েটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়নি রশিদ৷ সন্তানের বয়সি মেয়েটিকে নিয়ে গেছে দিল্লি৷ সেখানে প্রতিরাতে চলতো ‘ধর্ষণ'৷ রশিদ, ওমপ্রকাশ, মাহতাব....এক সময় পাঁচজন পুলিশও যোগ দেয় শিশুদেহ ভোগের নারকীয় উৎসবে৷ তারপর আরো নতুন নতুন ‘খদ্দের' আসতে থাকে, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে গিয়ে পতিতাবৃত্তির নিগড়ে বাঁধা পড়ে যায় ফরিদা৷
প্রতিরাতের পাশবিক অত্যাচার বেশি দিন সহ্য করতে পারেনি ফরিদা৷ হাসপাতালে যেতে হয় তাকে৷ সেই সুযোগেই মেলে পতিতাবৃত্তি থেকে মুক্তি৷ অবশ্য তখনই স্বাধীন জীবন মেলেনি, মিলেছিল কারাবাস৷ কারমুক্তির পর বড় অভিমান আর ক্ষোভ নিয়ে দেশে ফেরে ফরিদা৷ ক্ষোভটা বেশি বাবার ওপর৷ লেখাপড়া না শিখিয়ে ওই বয়সে মেয়েকে অপরিচিতের হাতে তুলে দিয়ে যে বিপর্যয় ডেকে এনেছিলেন – তার জন্য বাবাকে ক্ষমা করতে পারছিল না ফরিদা৷
অনেকদিন পর ফরিদা যখন বাড়ি ফিরল বাবা তখন আরো বড় সংসারের কর্তা৷ ফরিদা দেখল, তাকে বিক্রি করে বাবা আরো দু'টি বিয়ে করেছে, আরো সাত সন্তানের জনক হয়েছে৷
ইউটিউবে এই ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে৷ দু'বছরে ভিডিওটি দেখা হয়েছে ৮ লক্ষ ৮ হাজার ৪৪৫ বার৷
ফরিদার মতো আরো গল্প ছড়িয়ে আছে আমাদের চারপাশে৷ আপনার জানা থাকলে জানান আমাদের, নীচের ঘরে৷