ফসফরাস বোমা ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করলো যুক্তরাষ্ট্র
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮রুশ জেনারেল ভ্লাদিমির সাভচেঙ্কো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘‘অ্যামেরিকার দুটি এফ-১৫ বিমান থেকে সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখে দিয়ার আল-জাওয়ার প্রদেশের হাজিন এলাকা লক্ষ্য করে অগ্নিকাণ্ড সৃষ্টিকারী ফসফরাস বোমা হামলা চালানো হয়েছে৷''
এই হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার শন রবার্টসন এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, ঐ অঞ্চলে থাকা মার্কিন সামরিক ইউনিটের কাছে ফসফরাস বোমা নেই৷
উল্লেখ্য, জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী, সাধারণ জনগণ ও বৈধ সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে ফসফরাস বোমা হামলা চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷
এর আগে গত মার্চে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাশিয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত বোমা হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল ব্রিটেন ভিত্তিক সংগঠন ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস'৷ রাশিয়া এই অভিযোগ অস্বীকার করে একে ‘নির্লজ্জ মিথ্যা' বলে আখ্যায়িত করেছিল৷
তবে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট এর আগে সিরিয়ায় সাদা ফসফরাস বোমা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠন৷
ইডলিবে হামলা
সিরিয়ার বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শেষ এলাকা ইডলিব প্রদেশ৷ শনিবার থেকে সেখানে হামলা শুরু করেছে সিরিয়া ও রাশিয়া৷ এর আগে ইডলিবে সম্ভাব্য সামরিক হামলা বন্ধে তেহরানে বৈঠক করেন ইরান, রাশিয়া ও তুরস্কের শীর্ষ নেতারা৷ কিন্তু সেটি সফল না হওয়ায় শনিবার থেকে ইডলিবে হামলা শুরু হয়েছে৷
সেখানকার বাসিন্দা ও উদ্ধারকারীরা বলছেন,সিরীয় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারথেকে দক্ষিণ ইডলিবের গ্রামগুলোতে ব্যারেল বোমা হামলা চালানো হয়েছে৷ এতে দুই শিশু প্রাণ হারিয়েছে৷
তবে সিরীয় সেনাবাহিনী ব্যারেল বোমা ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে৷ কিন্তু জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলছেন, সিরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের মতো যথেষ্ট প্রমাণাদি তাদের কাছে রয়েছে৷
এদিকে, ইডলিবের পাশের প্রদেশ হামায় থাকা বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে রাশিয়ার জেট থেকে হামলার খবর পাওয়া গেছে৷
উল্লেখ্য, ইডলিবে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের বাস৷ তাদের অনেকেই সিরিয়ার অন্যান্য এলাকার বাসিন্দা৷ ঐসব এলাকায় সংঘাত থেকে বাঁচতে তাঁরা ইডলিবে আশ্রয় নিয়েছেন৷ ফলে ইডলিবে সামরিক হামলার কারণে সর্বোচ্চ আট লক্ষ মানুষ গৃহহীণ হতে পারে বলে আশংকা করছে জাতিসংঘ৷
২০১১ সালে শুরু হওয়া সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ জন প্রাণ হারিয়েছেন৷ গৃহহীণ হয়েছেন আরো প্রায় কয়েক মিলিয়ন মানুষ৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)