1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ট্রাম্পের আয়কর বিবরণী প্রকাশ

১৫ মার্চ ২০১৭

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০০৫ সালে ব্যবসায়ী হিসেবে দেড়শ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছেন৷ বিপরীতে তিনি আয়কর দিয়েছেন প্রায় ৩৮ মিলিয়ন ডলার৷

https://p.dw.com/p/2ZDUb
Donald Trump zerknirscht
ছবি: picture alliance/AP Images/M.J.Terrill

যুক্তরাষ্ট্রের এক গণমাধ্যমে ট্রাম্পের আয়কর প্রদান সংক্রান্ত দুই পৃষ্ঠার একটি বিবরণী প্রকাশিত হওয়ার আগে হোয়াইট হাউস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়৷

মঙ্গলবার এমএসএনবিসি টেলিভিশনের উপস্থাপক রাচেল ম্যাডো এক টুইটার বার্তায় জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে ট্রাম্পের আয়কর বিবরণী রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে রাতে তাঁর অনুষ্ঠানে আলোচনা হবে৷ এর কিছুক্ষণ পরই বিবৃতি দেয় হোয়াইট হাউস৷

ট্রাম্পের আয়কর বিবরণীটি আসলে পেয়েছিলেন পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী অনুসন্ধানী সাংবাদিক ডেভিড কে জনসন৷ তিনি পরবর্তীতে রাচেল ম্যাডোর অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন৷ ইমেলের মাধ্যমে জনসনের কাছে বিবরণীটি পৌঁছলেও সেটি কে বা কারা পাঠিয়েছে তা তিনি জানেন না৷ তবে ট্রাম্পও তাঁকে বিবরণীটি পাঠিয়ে থাকতে পারেন বলে মন্তব্য করেন জনসন৷

বিবরণীতে দেখা যায়, ট্রাম্প ২৪.৫ শতাংশ হারে কর দিয়েছেন৷ সাধারণ মার্কিনিদের ক্ষেত্রে এ হার ১০ শতাংশের মতো৷ তবে নিয়ম অনুযায়ী, যাঁদের আয় এক মিলিয়ন ডলারের বেশি তাঁদের ২৭.৪ শতাংশ কর দেয়ার কথা৷ সে হিসেবে ট্রাম্প প্রায় আড়াই শতাংশ কর কম দিয়েছেন৷

৩৮ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে কেন্দ্রীয় আয়কর হিসেবে ট্রাম্প দিয়েছেন ৫.৩ মিলিয়ন ডলার৷ আর ৩১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন ‘অল্টারনেটিভ মিনিমাম ট্যাক্স’ বা এএমটি হিসেবে৷ ধনী ব্যক্তিরা যেন আইনের ফাঁকের আশ্রয় নিয়ে কর ফাঁকি দিতে না পারেন সেজন্য এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ নির্বাচনি প্রচারণার সময় ট্রাম্প এএমটি তুলে দেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন৷

এদিকে, আয়কর বিবরণী প্রকাশ করায় এমএসএনবিসি-র সমালোচনা করে এটি আইনের পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস৷ ‘‘এভাবে আয়কর চুরি করা ও প্রকাশ করা একেবারে অবৈধ’’, এক বিবৃতিতে বলে হোয়াইট হাউস৷ তবে জনস্বার্থে এটি প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এমএসএনবিসি৷ ‘ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট’ অনুযায়ী এটি বৈধ বলেও দাবি করেছে চ্যানেলটি৷

ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এক টুইটে আয়কর বিবরণী প্রকাশ করার সমালোচনা করেছেন৷

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও নিজের আয়কর বিবরণী প্রকাশ করতে না চেয়ে বিতর্কের জন্ম দেন ট্রাম্প৷ তিনি বলেন, ‘ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস’ তাঁর বিষয়টি তদন্ত করছে এবং সে কারণে তাঁর বিবরণী প্রকাশ করা উচিত নয় বলে তাঁকে তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন৷ তবে এ ব্যাপারে আইনগত কোনো বাধা আসলে নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য