ফাইনাল পর্যন্ত নান্দনিক নাচ ধরে রাখার প্রত্যয় সুইডেনের
১২ জুলাই ২০১১দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল বিশ্বকাপের আসরে ভুভুজেলার মতো এবার প্রমীলা বিশ্বকাপের জার্মানির আসরের জনপ্রিয় প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিটি গোলের পর ঠিক একই তালে সুইডিশ তরুণীদের বিশেষ নাচ৷ যে কোন ক্রীড়া আসরে সাফল্য পাওয়ার পর বিজয়ী তারকাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশের ধরাবাঁধা কোন ছন্দ না থাকলেও, হয়তো একমাত্র সুইডিশ তরুণীদের রয়েছে কাঠামোবদ্ধ গতিময় ছন্দের বিশেষ নাচ৷ আর তা ভক্তদের আরো বেশি করে উদ্বেলিত করেছে৷ এমনকি সুইডেনকে সমর্থন না করলেও হয়তো সেই বিশেষ নাচ দেখার আশাতেও তাদের গোল প্রত্যাশা করেছেন অনেকেই৷ কারণ প্রতিটি গোলের পরেই তো উপভোগ করা যাবে সেই মোহনীয় ছন্দময় তাল৷
যাহোক, বুধবারের সেমিফাইনালে জাপানকে হারিয়ে একেবারে ফাইনাল পর্যন্ত সেই বিশেষ নাচ দেখানোর আশা দিচ্ছেন সুইডিশ কোচ থমাস ডেনারবি৷ গত রবিবার ফ্রাঙ্কফুর্টের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে সুইডেন৷ অন্যদিকে, গত দুইবারের সেরা জার্মানির শিরোপা জয়ের আশা ভূলুণ্ঠিত করে সেমি-ফাইনালে উঠে এসেছে জাপান৷ ফলে স্বাগতিক জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে জাপানের আত্মবিশ্বাসও বেশ তুঙ্গে৷ তবুও নাডেশিকো বাহিনীর কোচ নোরিও সাসাকির ভরসা ফুটবল দেবতার উপরেই৷ বললেন, ‘‘শুধুমাত্র ফুটবল দেবতারাই জানেন কোন দল জিতবে''৷
দৈত্য নিধনের কৌশলে মার্কিন প্রমীলাদের রুখতে চায় ফ্রান্স
বুধবার সেমি-ফাইনালের অপর খেলায় মার্কিন তরুণীদের বিরুদ্ধে লড়বেন ফরাসি প্রমীলারা৷ স্বাগতিক জার্মানি এবং ২০০৭ আসরের ফাইনালিস্ট ব্রাজিলের বিদায়ের পর এখন ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই এবারের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে গুনছেন ফুটবল বোদ্ধারা৷ তাই কেবলমাত্র উঠতি পর্যায়ে থাকা ফরাসি দলের সামনে মার্কিন প্রমীলা লড়াকুদের বাহিনীকে দৈত্য হিসেবেই বিবেচনা করা যায়৷ সেকথাটিই অকপটে স্বীকার করেছেন ফরাসি কোচ ব্রুনো বিনি৷ বললেন, ‘‘এই দু'টি দলের তুলনা করা অসম্ভব৷ তারা ব়্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে৷ তাছাড়া অ্যামেরিকায় রয়েছে ২৫ লাখ ক্লাব খেলোয়াড়৷ অন্যদিকে, আমাদের ক্লাব খেলোয়াড় মাত্র ৫৫ হাজার৷ তাই তাদের জন্য সেরা ২১ জনকে বাছাই করে শক্তিশালী দল গড়াটা অনেক সহজ৷''
তবুও কিছুটা আত্মবিশ্বাস খোঁজার চেষ্টা করেছেন বিনি৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘তবুও যথেষ্ট যোগ্যতা ও দক্ষতা ছাড়া তো কেউ অনূর্ধ্ব ১৯ ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন, ইউরোপীয় কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট এবং বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছতে পারে না৷'' তাই বিনিও আশায় বুক বেঁধেছেন ফাইনালে যাওয়ার৷
এখন সেই সাসাকির ভাষায়, ফুটবল দেবতাদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে অন্তত বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক